‘ফেল’ টেট পরীক্ষার্থীকে চাকরিতে বসার সুযোগ দিতে হবে! পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের

‘ফেল’ টেট পরীক্ষার্থীকে চাকরিতে বসার সুযোগ দিতে হবে! পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: খাতায় কলমে তিনি ‘ফেল’। কিন্তু তবুও তাঁকে চাকরির জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই দাবি কোনও পরীক্ষার্থী করেননি বরং টেট পরীক্ষার্থীকে ‘পাশ’ ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন এই নির্দেশ দিলেন তিনি? যুক্তি দিয়ে সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন বিচারপতি। 

ওই টেট পরীক্ষার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন ২০১৬ সালে তিনি টেট পরীক্ষায় বসেন এবং পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাঁকে উত্তীর্ণ হয়েছেন বলেই জানিয়েছিল। কিন্তু পরে পর্ষদের ডিজিটাইজড ওএমআর শিটে দেখা যায় তিনি ৬৮ পেয়েছেন, আর পাশ করতে গেলে পাওয়ার কথা ছিল ৮৩। চাকরিপ্রার্থীর দাবি, ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ ওঠার পর প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অধীনেই ডিজিটাইজড ওএমআর শিট তৈরির কাজ শুরু করে পর্ষদ। সেই সময়ে নতুন করে ওএমআর শিটে দেখা যায় তিনি ৬৮ পেয়েছেন। অর্থাৎ টেটের নিয়ম অনুয়ায়ী, তিনি পাশ করেননি। চাকরিপ্রার্থীর আইনজীবীর বক্তব্য, এক বার পাশ জানিয়ে দেওয়ার পরও নম্বর বদলে যাচ্ছে। নতুন নম্বর যে সঠিক তা তারা মানবেন কেন। 

এই বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আসল ওএমআর শিট নষ্টের দায় প্রাথমিক পর্ষদের। আর পরে যে ডিজিটাইজ ওএমআর শিটের তথ্য দেওয়া হয়েছে তাও সন্দেহজনক। সেক্ষেত্রে বেনিফিট অফ ডাউটে প্রাথমিক বোর্ডের যুক্তি খাটছে না। তাই ওই পরীক্ষার্থীর ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁকে চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে পর্ষদকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 6 =