কলকাতা: ইডি-সিবিআই চাইলে প্রয়োজন মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি এমনই কথা জানিয়েছেন। নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক যে অভিযোগ তার প্রেক্ষিতেই এমন জানিয়েছেন বিচারপতি। ঠিক এরপরেই টুইট করে নাম না নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন। সেই টুইটের কয়েক ঘণ্টার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রত্যক্ষভাবে বিচারপতির নাম নিয়ে আক্রমণ করলেন কুণাল।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়ে পার্থকে সওয়াল, প্রশ্ন এড়িয়ে কী বললেন তিনি?
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বিচারপতি যা মন্তব্য করছেন তা আইন বহির্ভূত, এক্তিয়ার বহির্ভূত। তিনি আত্মতৃপ্তি পাওয়ার জন্য, আত্মপ্রচারের জন্য এই কাজগুলি করে যাচ্ছেন। তৃণমূলের নেতা খোঁচা, বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের কথাই যখন বলবেন তাহলে চেয়ারের অপমান না করাই ভালো। চেয়ার ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন, বার্তা দেন কুণাল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘টার্গেট’ হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করছেন বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের হয়ে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”৬ বনাম ৪২, ডিএর লড়াই দিল্লির বুকে! DA protest now in Delhi” width=”853″>
এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল ঘোষ। তাঁর এও বক্তব্য, বিচারপতি তদন্তকে সমানে প্রভাবিত করছেন, পক্ষপাতদুষ্ট করছেন। ক্ষমতা থাকলে বাম জমানার দুর্নীতিগুলোও তদন্তে যুক্ত করুন, কার্যত এমনই চ্যালেঞ্জ করেন কুণাল। তবে তিনি এও জানান, প্রয়োজনে তিনি জেলে যেতেও রাজি। কিন্তু এই বক্তব্যের জন্য বিচারবিভাগ যাতে তাঁকে ভুল না বোঝে।