‘আগে সাংসদ পদ ছাড়ুন, নাহলে নাটক বলব’ বাবুলের পোস্টে তীব্র কটাক্ষ কুণালের

‘আগে সাংসদ পদ ছাড়ুন, নাহলে নাটক বলব’ বাবুলের পোস্টে তীব্র কটাক্ষ কুণালের

কলকাতা: রাজনৈতিক সন্ন্যাসের বার্তা দিয়ে বাবুল সুপ্রিয়র ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল৷ সেই সঙ্গে উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও৷ ‘রাজনীতি ছাড়ার কথা বললে, আগে সাংসদ পদ ছাড়ুন৷ নাহলে বলব নাটক৷’ তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের৷ 

আরও পড়ুন- ‘মাসির গোঁফ বেরলে কি মেসো বলব?’ বাবুলের ‘সন্ন্যাস’ গ্রহণ নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের

বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার জল্পনা নিয়ে টুইট করে কুণাল আরও বলেন, ‘‘মন্ত্রিত্ব হারিয়ে দলের অন্দরে কোণঠাসা বাবুল৷ তাই দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে৷ হতাশার কারণে প্রচারের আলোতে থাকার চেষ্টা৷’’ আবার অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা মন্ত্রী হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না৷ জনপ্রতিনিধি হওয়াটাই বিশাল দায়িত্ব৷ মন্ত্রিত্ব পেলে ভালো, না পেলে খারাপ – এটা রাজনীতির মানদণ্ড হতে পারে না। প্রঙ্গত, বাবুলের ফেসবুক পোস্ট থেকে তাঁর রাজনীতিকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত স্পষ্ট৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘সমাজসেবা করতে হলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়৷ আগে নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই৷ তারপরে….৷’’ মন্ত্রিত্ব হারিয়েই কি রাজনৈতিক সন্ন্যাস? আপাতত এই প্রশ্নেই তোলপাড়৷

বাবুল আরও লিখেছেন, ‘‘রাজনীতিত ছাড়তে চেয়ে বারবার অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার কাছে গিয়েছি৷ আমি ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ যে, প্রতিবারই  ওঁরা আমাকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি তাঁদের এই ভালোবাসা কোনও দিন ভুলব না৷ তাই আবার তাঁদের কাছে গিয়ে সেই একই কথা বলার ধৃষ্ঠতা আর আমি দেখাতে পারব না৷ ‘আমার আমি’ কী করতে চাই অনেক দিন আগেই তা ঠিক করে নিয়েছি৷’’ এর পরেই কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ৷ 

আরও পড়ুন-সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশা

প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেও বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল৷ তিনি বলেন, রাজনীতিতে কিছু পাওয়ার বা পাওয়ার-এর আশায় তো আসিনি৷ আপনাদের ভালোবাসায় আপনাদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে আমার আমি থেকে গান থেকে দূরে চলে যাচ্ছি নাতো? উল্লেখ্য সাত বছর মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন বাবুল৷ তবে সাম্প্রতিক রদবদলে কাটা গিয়েছে তাঁর নাম৷ এর পর থেকেই বিস্ফোরক তিনি৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + fifteen =