তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে গ্রেফতার ‘লিভ-ইন’ পার্টনার চিকিৎসকই, তিনি সেনায় কর্মরত

তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে গ্রেফতার ‘লিভ-ইন’ পার্টনার চিকিৎসকই, তিনি সেনায় কর্মরত

কলকাতা: গত সোমবার বারাকপুরের সেনাছাউনির অফিসার্স কোয়ার্টার্সের এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের ঝুলন্ত দেহ। দেহের পাশেই উদ্ধার হয়েছিল সুইসাইড নোট। তার ভিত্তিতেই এবার গ্রেফতার হলেন প্রজ্ঞাদীপার একত্রবাসের সঙ্গী চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক অত্যাচার থেকে শুরু করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইনি আদতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক। 

৩৭ বছরের প্রজ্ঞাদীপার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর যে সুইসাইড নোট মেলে তাতে শারীরিক অত্যাচারিত হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া আছে। ওই নোটে লেখা ছিল, ‘‘যে প্রহারের দাগ নিয়ে চলে গেলাম, এর শোধ কেউ নেবে। আমার মৃত্যুর জন্য কৌশিক দায়ী।” তিনি সরাসরি তাঁর ‘লিভ-ইন’ পার্টনারকেই এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। তরুণীর পরিবার আগেই কৌশিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ এবং এখন গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশ প্রাথমিক অনুমান, প্রজ্ঞাদীপা আত্মহত্যাই করেছেন তবে মৃত্যুর আগে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলেও ধারণা।