কলকাতা: একজন শিশু জন্ম নেওয়ার পর বাবা-মায়ের আনন্দের কোনও সীমা থাকে না। সকলেই চায় যে তাদের সন্তান সুস্থ, স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রের সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর ওজনের ক্ষেত্রে চিন্তা হয়ে যায়। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে, ‘লো বার্থ ওয়েট’। এই ইস্যু এখন চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের জন্য। কারণ তথ্য বলছে, রাজ্যে ২৪ শতাংশ সদ্যোজাত শিশুরই ওজন কমের সমস্যা। বিশেষ করে কলকাতা এবং জঙ্গলমহলের জেলাগুলি নিয়ে উদ্বেগ। এক কথায় পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে বাংলায় জন্মানো প্রতি চারটি শিশুর একটিই আড়াই কেজির কম ওজনের।
আরও পড়ুন- মাথা পিছু পাঁচ লক্ষ অগ্রিম! এর পর মানিকের কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনু
সাম্প্রতিক সময়ে যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা ছাড়া বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূমসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলায় কমবেশি প্রতিটি তিনটি শিশুর একটি কম ওজনের। শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের দু’একটি জেলা যেমন কালিম্পং, দার্জিলিং-এর পরিস্থিতি কিছুটা সন্তোষজনক। বাকি জেলাগুলি নিয়ে চিকিৎসক মহলে দিনদিন উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, কম বয়সে মা হওয়ার কারণে শিশুদের নিয়ে এই সমস্যা বাড়ছে। ১৫-১৬ বছর বয়সে যে কিশোরী মা হচ্ছে, সে নিজেই সন্তানধারনের জন্য অপুষ্ট। তাই জন্ম নেওয়া সন্তানও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভাস্করের সাফল্যে গর্বিত বাংলা! Nadia’s Bhaskar Biswas wins bronze in Mr India competition” width=”853″>
শুধুমাত্র ওজন কমের সমস্যা নয়, ‘প্রি-ম্যাচিওর’ সন্তানও চিন্তা বাড়াচ্ছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সন্তান জন্ম নিচ্ছে গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে। সেই শিশুরই জন্মের সময় ওজন দেখা যাচ্ছে এক কেজি বা তারও কম। এমনিতেই রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে, অনেক শিশু আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুও বাড়ছে। এই প্রেক্ষিতে চিকিৎসক মহলের একাংশের দাবি, কম ওজনের সন্তান, অপরিণত সন্তানরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আশঙ্কজনক অবস্থায় চলে যাচ্ছে।