কলকাতা: দালালরাজ চলছে। টাকার খেলা চলছে চারিদিকে। টাকা দিলে তবেই মেলে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ধরণের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এসএসকেএম বা পিজি হাসপাতাল বয়কটের দাবি তুলেছিলেন রাজ্যের তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে একে একে আরও বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেইসব নিয়ে বিতর্ক উচ্চ মাত্রায় যেতেই এখন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন মদন। এখন তাঁর দাবি, এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে তিনি কিছু বলেছিলেন বা হাসপাতাল বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন কিনা তাঁর মনে নেই! মদনের কথায়, কিছু মনে রাখতে পারছেন না তিনি।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক রোগীকে পিজিতে ভর্তি করাতে পারেননি তিনি, এমনকি তাঁকে ৬ ঘণ্টা ম্বুল্যান্সেই রেখে দিতে হয়, এমন অভিযোগ ছিল মদন মিত্রের। তাঁর বক্তব্য ছিল, স্বাস্থ্য সচিব, মন্ত্রীকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। আবার রাতেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। এরপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এরই মাঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মদন মিত্রকেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয়। তারা যে আইনি পদক্ষেপ নেবে বা নিতে পারে সেই আভাসও দিয়েছে। একই সঙ্গে দাবি করেছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন। হাসপাতাল চত্বরে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। তবে আচমকাই এখন অন্য সুর মদনের গলায়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অভিষেকের সিবিআই জেরার দিনে বিস্ফোরক মমতা!কেন্দ্রকে নিশানা করে টুইট-বোমা মুখ্যমন্ত্রীর” width=”853″>
মদন বর্তমানে দাবি করছেন, ‘পিজি’ বলতে তিনি বোঝেন ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট’। হাসপাতাল নিয়ে তিনি কিছু বলেছিলেন বা হাসপাতাল বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন বলেও তাঁর মনে নেই। এই প্রেক্ষিতে মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি অবসর নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, মুকুলের রোগ ধরেছে তাঁকে। হ্যালুসিনেশন রোগ আছে। অ্যালঝাইমার্স শুরু হয়েছে। কী বলেছেন তিনি ভুলে গিয়েছেন। পাশাপাশি, জল্পনা উস্কে অবসর নেওয়ার কথাও তিনি বলেন। কিন্তু কোন দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চান, তা স্পষ্ট করেননি।