‘অর্ধেক শিক্ষক নিয়োগ কোর্টেই আটকে থাকে’, সুর চড়ালেন মমতা

‘অর্ধেক শিক্ষক নিয়োগ কোর্টেই আটকে থাকে’, সুর চড়ালেন মমতা

 রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকেও উঠে এল শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গ৷ এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের মেন্টর আলেমন উরি বলেন, ‘‘উত্তর দিনাজপুরে পাঞ্জিপাড়া এলাকায় একটি মডেল মাদ্রাসা স্কুল গড়ে তোলা হয়েছে৷ কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই৷ মাত্র ৩ জন শিক্ষক কাজ চালাচ্ছেন৷ শিক্ষকের অভাবে ভালো ভাবে পড়াশোনা হচ্ছে না৷ তাই পর্যপ্ত শিক্ষকের ব্যবস্থা করা হোক৷’’

আরও পড়ুন- ‘দু’বছর কিছু চাইবে না’, সাফ জানালেন মমতা

জবাব মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এভাবে শিক্ষক নিয়োগ হয় না৷ অর্ধেক আদালতেই আটকে থাকে৷’’ এর পরেই অবশ্য তিনি বলেন, রাজ্য শিক্ষা দফতর এই বিষয়টি দেখবে৷ কোনও জায়গায় ৫০ জন, কোনও জায়গায় এক জন৷ বলতে গেলেই ঝগড়া হয়৷ ধীরে ধীরে এই বিষয়গুলি ঠিক করতে হবে৷ 

প্রসঙ্গত, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে ঝুলে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি৷ উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছে কমিশনের কাছে। সেই সকল অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য গত মাসের শুনানিতে আরও ৩ মাস সময় বরাদ্দ করেছে হাইকোর্ট। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে নিয়োগ সুপারিশ। ১৫ সপ্তাহ পর ফের শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অনিয়মের অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয় উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। কিন্তু এখনও আদালতেই আটকে রয়েছে নিয়োগ৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =

‘দু’বছর কিছু চাইবে না’, সাফ জানালেন মমতা

‘দু’বছর কিছু চাইবে না’, সাফ জানালেন মমতা

রায়গঞ্জ:  নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার প্রায় সব কটিই পূরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিশেষ ভাবে আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প৷ কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্প চালাতে  হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের৷ তাই এখন নতুন করে আর কিছু দেওয়া সম্ভব নয়৷ উত্তরদিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা৷ 

আরও পড়ুন- দাবি শুনে বেজায় চটলেন মমতা, ধমকে বসালেন বিধায়ককে

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একের পর এক দাবি উঠতেই বিধায়ককে থামিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্টুডেন্স ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে হাজার হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে৷ কোথা থেকে জোগাড় করব তার ঠিক নেই৷ এখন আর নতুন করে কিছু চাইবে না৷ দু’বছর কিছু চাইবে না৷ পরে আবার দেখা হবে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি মানুষের জন্য এত কিছু করা হয়েছে৷ তোমাদের লজ্জা করে না? এই টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে? তোমার কোনও ধারণা আছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কত টাকা খরচ হচ্ছে? এটাও তো সরকারের প্রকল্প৷ সবই চাই৷ তাহলে একজন ম্যাজিসিয়ান তৈরি কর৷ সে এসে টাকা দিয়ে যাবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না৷ কোভিডে সমস্ত উপার্জন বন্ধ৷ শুধু বোঝা চাপছে৷ সব কিছুই মাথায় রাখতে হবে৷ বিধায়করা বুঝতে শিখুন৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 6 =