সৌজন্যে ‘হাফ লাখি’ জয়, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বহাল মমতা

সৌজন্যে ‘হাফ লাখি’ জয়, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বহাল মমতা

কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ফলে বিষয়টি জটিল হয়ে গিয়েছিল। ৬ মাসের মধ্যে কোনও আসনে জিতে বিধায়ক হতে হত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই প্রেক্ষিতেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার ফলে ভবানীপুর থেকে ভোটে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই ভোটের ফল প্রকাশ হয়ে গেল। সমস্ত রেকর্ড আজ একাই ভেঙে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে তো জয়ের হ্যাটট্রিক করলেনই, এমনকি ২০১১ সালে যে ভোটে তিনি জিতেছিলেন এখানে, সেই রেকর্ডও আজ টপকে গেলেন মমতা। সুতরাং, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে আর কোনও বাধা রইল না তাঁর।

উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সমস্যা হতে পারে, এই মর্মে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ান রাজ্যের মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বিতর্কের জল অনেক দূর গড়ায়। তবে অবশেষে নির্ধারিত দিনেই উপনির্বাচন সংগঠিত হয় ভবানীপুরে। আজ সেই ভোটেই জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এদিন মমতা জানান, ভবানীপুরে সব ধর্মের মানুষ আছেন, বাঙালি থেকে শুরু করে মুসলিম, মাড়ওয়ারি, পাঞ্জাবি সকলেই। প্রত্যেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন। এর আগে নির্বাচনে তিনি কয়েকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এবার ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে কোনও ওয়ার্ডে হারায়নি বলে জানান মমতা। এ জন্য তিনি ভীষণ কৃতজ্ঞ বলেও জানান। তিনি আরও বলেন, ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছেন। আজ গোটা বাংলা ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। তারা আজ তাঁকে প্রেরণা দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন বলে জানান মমতা। যদিও জেতার পর দুই আঙুলের ‘ভিক্ট্রি সাইন’ দেখাননি মমতা। তিনি তিন আঙুল দেখিয়ে বলেন, ‘আমরা তিন জায়গায় জিতেছি, তাই তিন আঙুল’।

এদিকে, প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, সব ওয়ার্ডে রিগিং হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোট হয়েছে! সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস জিতছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন। এই ছাপ্পা ভোটে জয়ের জন্য তিনি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানান প্রিয়াঙ্কা টেবরিওয়াল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =