‘বিশ্ববাংলার শাড়ির দাম একটু দামি’, ‘বাংলার শাড়ি’র দাম বেঁধে দিলেন মমতা

‘বিশ্ববাংলার শাড়ির দাম একটু দামি’, ‘বাংলার শাড়ি’র দাম বেঁধে দিলেন মমতা

কলকাতা: রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ বিভিন্ন জায়গায় কী ভাবে কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়, তা নিয়ে নবান্নে রিভিউ বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই ‘বাংলার শাড়ি’ নামে আউটলেট খোলার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। সেই উদ্দেশে একটি কমিটিও গড়ে দেন তিনি৷ এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইন্দ্রনীলকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করার কারণ রয়েছে। ইন্দ্রনীল হিসেব খুব ভাল জানে। ইন্দ্রনীল জামা কাপড় ভাল বোঝে, কিন্তু জামা কাপড় পরে না।”  প্রায় ঘণ্টাদুয়েক বৈঠকের শেষে ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাসের গোপন কথাও ফাঁস করেন মমতা। যা শুনে কেউই আর হাসি চেপে রাখতে পারলেন না৷ 

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘বিশ্ববাংলা’ স্টোর রয়েছে। এই দোকানগুলিতে বাংলার তাঁতিদের তৈরি শাড়ি বিক্রি করা হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বীকার করেছেন যে, ওই স্টোরগুলিতে শাড়ির দাম সামান্য বেশি। তাই নতুন করে ‘বাংলার শাড়ি’র দোকান খোলার পরিকল্পনা করছেন তিনি। মমতা জানান, ওই দোকানে শাড়ি তো থাকবেই। পাশাপাশি থাকবে মহিলাদের সালোয়ার এমনকী পুরুষদের পোশাকও রাখা হবে। আধুনিক যুগের মেয়েরা নরম শাড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করেন। তাঁদের পছন্দের কথা মাথায় রেখেই শাড়ি তৈরি করে ‘বাংলার শাড়ি’র শোরুমে তা রাখতে হবে বলেই জানান মমতা। তার ফলে শপিং মলমুখী আধুনিক ক্রেতাদেরও আকর্ষণ করতে পারবে ‘বাংলার শাড়ি’।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বাংলার শাড়ি’র শোরুমে শাড়ির-পোশাকের ন্যূনতম দাম হবে ৩০০ টাকা৷ ব্লকে ব্লকে খোলা হবে এই আউটলেট। রাজ্য সরকারের থেকে আউটলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ‘বাংলার শাড়ি’র দোকানে কী কী ধরনের শাড়ি, পোশাক থাকবে, তা ঠিক করতে কমিটিও তৈরি করেন তিনি। তাঁর কথায়, শশী পাঁজা খুব ভাল শাড়ি পরেন, তাই তিনি থাকছেন এই কমিটি। এছাড়া থাকবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বীরবাহা হাঁসদা। পুরুষদের মধ্যে ইন্দ্রনীল সেনের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গেই মজার ছলে ইন্দ্রনীল এবং অরূপ বিশ্বাসের গোপন কাহিনি ফাঁস করেন মমতা।

তিনি বলেন, “ইন্দ্রনীলকে এই কমিটির চেয়ারম্যান করা উচিত। আমার সঙ্গে যখন ও বাইরে যায় শুনতে পাই ফোনে বলে, শোন ফ্রিজ থেকে চারটে ট্যাংরা, তিনটে পারশে, দু’পিস কাটা পোনা বের কর। এই ধরনের হিলাব করে ও। কিপটে তো কিপটেই। এক পিস কাউকে দেবে না।” এরপর ইন্দ্রনীলের উদ্দেশে মমতা আরও বলেন, “জামাকাপড় তুমি ভাল বোঝো। কিন্তু ভাল জামাকাপড় পরো না।” 

এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইন্দ্রনীল-অরূপ একসঙ্গে প্রায়ই বাইরে যায়। ইন্দ্রনীল একদম জামাকাপড় পাল্টাতে চায় না। সেটা অরূপ ধরে ফেলেছিল। অরূপ কী করত, ইন্দ্রনীলকে বলত, কী রে প্যান্টটা চেঞ্জ করেছিস? ইন্দ্রনীল বলত, হ্যাঁ। কিন্তু অরূপ যে প্যান্টে একটা দাগ দিয়ে রেখে দিত তা ইন্দ্রনীল জানতই না”।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =