নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল বিজেপি, ভবানীপুরকেও বলছে: মমতা

নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল বিজেপি, ভবানীপুরকেও বলছে: মমতা

কলকাতা: ‘আমি আপনাদের রক্ষা করব। নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছিল, ভবানীপুরকেও বলছে’। প্রচারে বেরিয়ে লেডিস পার্কে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন ভবানীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, মসজিদে গিয়েছিলেন বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ ভবানীপুরে উত্তম উদ্যানে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন।

 

আরও পড়ুন- ভিন্ন ভিন্ন জ্বর! তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই ‘কাঁপুনি’ বাংলায়

মমতা বলেন, বিজেপির যে কায়দা সেটা তাঁর পছন্দ নয়। নোটবন্দির সময় কী হয়েছিল তাও সকলকে মনে করিয়ে দেন তিনি। এরপরে তিনি মন্তব্য করেন যে, তিনি মসজিদে গিয়েছিলেন বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি, কিন্তু তিনি মন্দির এবং গুরুদ্বারেও গিয়েছেন। যে যার নিজের ধর্ম পালন করুক, এমনটাই মত তাঁর। তিনি এও বলেন যে, তিনি কারোর খারাপ চান না। এই প্রেক্ষিতেই সকলকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। মমতার কথায়, ”আমি মুড়ি খাই, হালুয়াও খাই, আপনারা ভোটটা দিন।” এদিন আবার ভবানীপুরের লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি আবার সকলকে বলেন, রেল থেকে শুরু করে বিমা, সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তিনি সকলকে রক্ষা করবেন। আগামী দিনে দেশকে রক্ষা করবেন। সকলে যেন শান্তিতে থাকে, তিনি তাঁদের হয়ে লড়াই করে যাবেন। 

আরও পড়ুন- দুই পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৯৬০ কোটি! হুলস্থুল গোটা গ্রাম

আসলে ভবানীপুরে অবাঙালি ভোট প্রায় ৪০ শতাংশ। বিজেপি প্রথম থেকেই প্রচার করে আসছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবাঙালি বিরোধী। একই রকমভাবে হিন্দুত্বের তাস খেলেছে তাঁরা। এই প্রেক্ষিতেই হয়ত তাঁদের জবাব দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা। বার্তা দিতে চাইছেন যে, বিজেপি ভাগাভাগির রাজনীতি করছে, তৃণমূল কংগ্রেস নয়। এইভাবেই মন্দির, মসজিদ, গির্জা গিয়েছে তিনি আদতে সর্ব ধর্ম সমন্বয়য়ের বার্তা দিতে চাইছেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 13 =

‘৫-১০ টাকা তুললে বলছে তোলাবাজ, আপনারা কী?’ প্রশ্ন মমতার

‘৫-১০ টাকা তুললে বলছে তোলাবাজ, আপনারা কী?’ প্রশ্ন মমতার

ডানলপ: ভোটের মুখে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বাংলায় মাটি শক্ত করতে দফায় দফায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ বঙ্গে এসে বারবার তৃণমূলকে তোলাবাদ বলে তোপ দেগেছে বিজেপি নেতারা৷ এদিন তারই জবাবে ফুঁসে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হুগলীর সাহাগঞ্জে ডানলপ মাঠের জনসভা থেকে বিজেপি’কে সবচেয়ে বড় দাঙ্গাবাজ ও ধান্দাবাজ বলে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন-  ‘বিজেপি দলে মেয়েদের পাঠাবেন না, ওখানে সম্মান নেই’, বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার

এদিন তিনি বলেন, ‘যে ৫ টাকা-১০ টাকা তোলে তাকে বলছে তোলাবাজ৷ আর যারা কোটি কোটি টাকা তোলে, তাদের কী বলে? গ্রামের গরিব মানুষ পাঁচ টাকা, দশ টাকা তোলে, তাদের  তোলাবাজ বলছে৷ আর আপনারা তো দেশকেই বিক্রি করে দেন৷ কারখানা বিক্রি করে, কোটি কোটি টাকা কাটমানি খান৷ আপনারা তাহলে কি?’’ সুর চড়িয়ে তিনি আকও বলেন, ওঁরা ক্যাট মানি খান, না কি ব়্যাট মানি খায়? গরিব লোকেরা খেলে হয় কাটমানি, আর আপনাদের মতো কোটিপটিরা খেলে ওটা হয় ব়্যাট মানি৷ নেংটি ইঁদুরের দল সব৷’’ 

এদিন তৃণমূলে নাম লেখানে সায়নি ঘোষের পক্ষেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘সায়নি দুটি টুইট করেছে মাত্র৷ সামান্য দুটো কথা বলেছে৷ এর জন্য তাঁকে প্রতিদিন হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ বিজেপি’র কিছু অসভ্য লোক মেয়েদের সম্মান করতে জানে না৷ আশালীন ভাষায় আক্রমণ করেছে৷ সকলেরই ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে৷ এর জন্য সায়নী এবং দেবলীনাকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না৷’’  

আরও পড়ুন- দেশের দু’জন নেতা, একজন হোঁদল কুতকুত, অন্যজন কিম্ভুত কিমাকার: মমতা

কয়লা কাণ্ড নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দেন মমতা৷ তিনি বললেন, বিজেপি’র কত সাহস! বাংলার মা-বোনেদের, ঘরের বউকে কয়লা চোর বলছে! এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা মা-বোনেদের কয়লা চোর বলে তাদের সারা গায়ে ময়লা লেগে আছে।       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × five =

সংসার সামলে রাজনীতি করেছি, মাকে কাজ করতে দিতাম না, আবেগাপ্লুত মমতা

সংসার সামলে রাজনীতি করেছি, মাকে কাজ করতে দিতাম না, আবেগাপ্লুত মমতা

কলকাতা: শহরের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে আজ তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকজন বিক্ষোভকারী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে তাঁর সামনে। সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নিজের অতীতের কথা মন খুলে সকলকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক কথায়, আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন তিনি।

এদিন যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে কয়েকজন মানুষ তাদের দাবি-দাওয়া প্রদর্শন করেন তখন মাঝপথে নিজের বক্তৃতা থামিয়ে দেন তিনি। পরে নিজের রাগ একটু কমলে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “আমার দাদাকে দেখতে হয়েছে না হলে সংসারটা ভেসে যেত। তার সঙ্গে রাজনীতিও করেছি। মাকে কাজ করতে দিতাম না, বাবা মারা গেছে। ভোর তিনটে উঠে রান্না করতে হতো। অনেক কষ্ট করেছি, আর আপনারা এখন সিপিএম আর বিজেপির কথা শুনে এইসব করছেন”। তিনি আরো বলেন, “একটা হাঁস সোনার ডিম দেয়। ‌তা বলে একসঙ্গে সব ডিম পেতে চাইলে তো হাঁসটা মরে যাবে। ধৈর্য ধরতে হবে। একে একে সব হবে”। এই মন্তব্যের পাশাপাশি ফের একবার বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি পার্টিতে তারাই যায় যাদের দু-নম্বরি টাকা থাকে এবং যারা দাঙ্গা করে তারা। যাদের বিশাল টাকা রয়েছে তারা গচ্ছিত রাখতে সেখানে যায়, ভালোবেসে বিজেপিতে কেউ যায় না। এ দিকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কয়েকজন গদ্দারকে ধরে নিয়ে বিজেপি ভাবছে বাংলায় সরকার গঠন করবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি কি হাল করেছে তা এখন বলছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সেই রাজ্যকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। 

এর পাশাপাশি মমতা আরো অভিযোগ করেছেন, খাদ্যের টাকা এবং উন্নয়নের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে একে একে সব বিক্রি করে দিচ্ছে। ‌ গোটা দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি এও জানান, টালিগঞ্জের কয়েকজন শিল্পীকে বিজেপি আইটি সেল ভয় দেখাচ্ছে এবং টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের জন্য প্রচার করতে বলছে। মমতার কথায়, মানুষ বুঝে গিয়েছে বিজেপি মানেই বিপদ। গোটা পৃথিবী বুঝতে পারছে বিজেপি মানে বিপদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − two =