কলকাতা: ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৩টি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। তবে এ বার পালাবদল হয়েছে সাগরদিঘিতে। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রায় ২৩ হাজার ভোট হারিয়ে বিধানসভা যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। এই আসনে হার হলেও এখনই অবশ্য দমে যেতে রাজি নয় ঘাসফুল। অন্তত দলের সুপ্রিমোর কথায় তেমনটাই প্রকাশ পাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলছেন সাগরদিঘিতে ‘নৈতিক হার’ হয়েছে কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন- নওশাদদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রমাণ নেই! এই যুক্তিতেই জামিন
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকে রাজ্যে যে’কটি নির্বাচন হয়েছে তাতে জিতেছে তারা। ২০২১-এর পর সাগরদিঘিই প্রথম হার দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে সেখানে কংগ্রেস জিতল কী ভাবে? ফলাফলের হিসেব, ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে তারা হারিয়েছে তৃণমূলকে। কিন্তু মমতা বলছেন অন্য কথা। কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপির সাহায্য নিয়েই জিতেছে বাম-কংগ্রেস জোট। ওদের নৈতিক হার হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নামও আনেন তিনি। খোঁচা দিয়ে জয়ের জন্য তাঁদের ‘শুভেচ্ছা’ জানিয়ে মমতা বলেন, নিজে স্বীকার করেছেন, বিজেপির ভোট তাঁদের কাছে এসেছে। সত্যিটা বলা জন্য ধন্যবাদ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মমতা অপরাজেয় নন: অধীর! Adhir Ranjan Chowdhury says Mamata Banerjee not invincible” width=”853″>
উল্লেখ্য, সাগরদিঘিতে এই দারুণ জয়ের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন, তৃণমূল বিরোধী যারা বিজেপির ভোটার তাঁরা তাঁদের ভোট দিয়েছেন। আবার কংগ্রেস প্রার্থী বামফ্রন্টের মতো বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের বড় অংশের ভোটও পেয়েছেন। এতেই তাঁদের জয় হয়েছে। এই ‘অঘোষিত জোট’ নিয়েই সরব হন মমতা। তাঁর বক্তব্য, গণতন্ত্র হার-জিত লেগেই থাকে। কিন্তু এখানে অনৈতিক জোট হয়েছে। যার নিন্দা করছেন তারা।