কাকদ্বীপ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু করেছিল ঘাসফুল শিবির। মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই প্রায় ২ মাস জেলায় জেলায় ঘুরে হয়েছে এই কর্মসূচি। শুক্রবার কাকদ্বীপে সেই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটল। আর এরপরেই খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেলেন অভিষেক। মমতা জানান, ২ মাস আগের অভিষেকের সঙ্গে এখনকার অভিষেকের তফাৎ অনেক। এই ২ মাসে বহু নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে সে। একই সঙ্গে মমতা এটাও জানান যে, ঠিক কবে থেকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন কাকদ্বীপের সভায় কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানান, তিনি অভিষেককে কিছু উপহার দিতে চান। তারপর একটি ছবি বের করেন তিনি। স্মারক হিসেবে সেটাই অভিষেককে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিতে দেখা গিয়েছে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সঙ্গে, তাঁর মা এবং মায়ের কোলে ছোট্ট অভিষেক। তৃণমূল নেত্রী ব্যাখ্যা করে বলেন, ১৯৯০ সালে যখন অভিষেক ২ বছরের তখনকার ছবি এটা। সেই সময়ে সিপিএম তাঁকে মেরেছিল, মাথা ফেটে গিয়েছিল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর এই মুহূর্ত। অভিষেক তাঁর মায়ের কোলে বসে গোটা ঘটনা শুনেছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”west bengal panchayat election 2023 | মনোনয়নের শেষ দিন বৃহস্পতিবার খুন হলেন এক সিপিএম কর্মী।” width=”853″>
এরপর মমতা এও জানান, সিপিএমের মারের ঘটনা শোনার পরদিন থেকেই অভিষেক বাড়িতে একটা ঝান্ডা হাতে নিয়ে দৌড়ত। ‘দিদিকে কেন মারলে, সিপিএম জবাব চাই, জবাব দাও’ স্লোগান দিতে থাকত। সেই থেকেই ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন। আসলে বিরোধী শিবির বরাবর এই দুজনকে দিদি-ভাইপো বলে কটাক্ষ করে। কিন্তু মমতা স্পষ্ট করেন, পারিবারিক সম্পর্কের জন্যই যে অভিষেক রাজনীতিতে এসেছে এমন ধারণা ভুল।