কলকাতা: গোয়ার একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার বর্ষপূর্তিতে সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ৩০ শে মে গোয়ার ৩৫তম রাজ্য মর্যাদা দিবস। ১৯৮৭ সালের আজকের এই দিনেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন এবং দিউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশের ২৫তম রাজ্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল গোয়া। রাজ্যের এই বিশেষ দিনে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোম সকালে মুখ্যমন্ত্রী গোয়ার বাসিন্দাদের লড়াকু মনোভাবকে অভিনন্দন জানালেন।
এদিন সকালে গোয়ার রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার ৩৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘আপনাদের ক্রমাগত লড়াই এবং রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জন্য একনিষ্ঠতাই গোয়াকে এই মর্যাদা পেতে সাহায্য করেছে। যারা এই লড়াই লড়েছেন, তাঁদের প্রতি তৃণমূলের শ্রদ্ধা। আরও উন্নতি হোক গোয়ায়।’
উল্লেখ্য, গত এক বছরে বাংলার বাইরে বেশকিছু রাজ্যে ধীরে ধীরে ভিত মজবুত হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। সেই সমস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে গোয়া কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নাম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব নিয়েছিলেন গোয়া নির্বাচনের। প্রথমবারেই গোয়া দখল করা সম্ভব নয় এ কথা জেনেও লড়াই করতে পিছুপা হয়নি ঘাসফুল শিবির। আর তাই প্রথমবারের চেষ্টাতেই বিধানসভার ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে গোয়ার ভিত মজবুত করার কাজ চালাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এমনকি গোয়ার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গোয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে প্রাক্তন খেলোয়াড় অনেকেই নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। আগামীতে তাঁদের ভরসা করেই ফের নতুন করে গোয়া দখলের লড়াইয়ে নামতে পারে তৃণমূল, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।