কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দেশে এবং দেশের বাইরের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে মোট ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন। কিন্তু তার এক টাকাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেননি মানিক ভট্টাচার্য। সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন।
আরও পড়ুন- ‘সিবিআই-ইডি-র অত্যাচারে তাপস পাল তো মারাই গেলেন!’, পার্থর জামিন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দেবাংশু
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মানিকের সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়। আদালতে তার হিসাবও দেন মানিক৷ তবে নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় মানিক জানিয়েছিলেন, যাদবপুরে তাঁর দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়া তাঁর সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি টাকার কিছু বেশি। ওই দুটি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য প্রায় ৬৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া ব্যাঙ্কে কিছু জমানো টাকা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনও অপরাধের মামলা। তবে সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল যে তাঁর দুটি পাসপোর্ট আছে, বিদেশে বাড়িও আছে। যদিও তা অস্বীকার করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”‘মোটু টুকি’, ‘মোটকা দা টুকি’! টিটকিরির বিরাম্বনায় পার্থ! Jail inmates mock Partha Chatterjee” width=”560″>
আদালতে মানিক জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ সেখা থেকে বাণিজ্য নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। এর পর যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ শুরু করেন। অবসর গ্রহণের পর পর্ষদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ যদিও হলফনামায় নিজেকে পেনশনভোগী বলেই উল্লেখ করেছিলেন মানিক। জানান, পর্ষদ সভাপতি হিসেবে সাম্মানিক পেতেন তিনি। পাশাপাশি একটি সিনিয়র সিটিজেন স্কিম করা ছিল তাঁর৷ সেখান থেকেও টাকা পেতেন।