কলকাতা: ধনখড় জমানা শেষ হয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে আনন্দ জমানা। কিন্তু আনন্দ কোথায়? ফের সেই একই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন খুশি নন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়েছে প্রাক্তন একাধিক উপাচার্যরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তারা। দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল নিজেই উস্কাচ্ছেন নিয়ম ভাঙতে।
এদিন কলকাতার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য থেকে শুরু করে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য। সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে তারা বলেন, নিয়ম মেনে কাজ করতে দিচ্ছেন না খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সমস্ত উপচার্যদের বলা হচ্ছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে। কিন্তু এমন নির্দেশ এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি। এটা নিয়মের বাইরে বলেই দাবি করছেন উপাচার্যরা। কেন সার্চ কমিটির বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন রাজ্যপাল তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। এবার একাধিক উপাচার্যরা সরব হলেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”কাকুকে দেখে চোর চোর শ্লোগান! হাসপাতালের বাইরে জনতার ভিড়! একের পর এক প্রশ্নবান, নিশানায় কাকু” width=”853″>
এদিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র আরও বড় অভিযোগ করে বলেছেন, কিছু কিছু অধ্যাপকদের রাজভবনে ডেকে পাঠাচ্ছেন তিনি। হাতে গোনা যে কজন তাঁকে সরাসরি কিছু রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাদের সুবিধা করে দিতে চাইছেন রাজ্যপাল।
