কলকাতা: পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর শিল্প দফতর সাময়িকভাবে হাতে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সময় থেকে ইঙ্গিত ছিল যে মন্ত্রিসভার রদবদল হবে এবং তাই হল। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার কিছু বদল করা হয়েছে তাতে অনেকে যেমন নতুন মন্ত্রী হয়েছেন, অনেকের দায়িত্ব কমেছে, আবার অনেকের মন্ত্রিত্ব চলেও গিয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা মন্ত্রিত্ব হারালেন।
পার্থ চট্টোপাধায়ের মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর পরেশ অধিকারীকে নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে পরেশ অধিকারীর। আদালতের নির্দেশে স্কুল শিক্ষিকার চাকরিও গিয়েছে তাঁর মেয়ের। এই অবস্থায় পার্থর মতো তাঁর কেন মন্ত্রিত্ব যাবে না সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছিল। তবে নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন পরেশ। তাঁর জায়গায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সত্যজিত বর্মণ। অন্যদিকে, পরেশ অধিকারী ছাড়াও মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েছেন সৌমেন মহাপাত্র, রত্না দে নাগ ও হুমায়ূন কবীর।
মন্ত্রিত্ব না গেলেও দায়িত্ব কমছে, বেড়েছে অনেকের। যেমন ফিরহাদ হাকিমের হাতে পরিবহণ এবং আবাসন ছিল। তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর হাতে একটি দফতর থাকল এখন, যা পুর ও নগরোন্নয়ন। আবাসন পেলেন অরূপ বিশ্বাস, তাঁর সঙ্গে তিনি ক্রীড়া, বিদ্যুৎ দফতর সামলাবেন। পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব পেলেন নতুন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। নারী-শিশুকল্যাণের সঙ্গে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন শশী পাঁজা। পরিষদীয় মন্ত্রী হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সৌমেন মহাপাত্রের জায়গায় সেচ ও জলপথ মন্ত্রী হলেন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ পার্থ ভৌমিক। ফিরহাদের মতো মলয় ঘটকের দায়িত্ব কমেছে। তাঁর চলে গিয়েছে পূর্ত দফতর। সেটি পেয়েছেন পুলক রায়। ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এত দিন মানস ভুঁইয়া সামলাচ্ছিলেন। এখন ওই দফতর পেলেন বিপ্লব মিত্র। মানস ভুইয়া জল এবং পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী হয়েছেন।
