কলকাতা: হকারদের থেকে তোলা আদায় করার চল এ দেশে নতুন নয়৷ শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি, মুম্বই-সহ বড় বড় শহরগুলিতে এটা একটা অপসংস্কৃতি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত দু’দিন ধরে কলকাতা-জুড়ে শুরু হয়েছে হকার ও জবরদখল উচ্ছেদ৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যেমন হকারদের অন্যায় আবদার মানা হবে না, তেমনই হকারদের থেকে কোনও চাঁদা আদায় করতে পারবেন না হকার নেতারা। পুলিশও কোনও ভাবে চাঁদা নিতে পারবে না। গরিব হকারদের থেকে এভাবে চাঁদা আদায় বন্ধ করতে হবে নেতা ও পুলিশকে৷
হাতিবাগানের পরিস্থিতির জন্য কাউন্সিলরদের দায়ী করেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাতিবাগানের কী অবস্থা! হকাররা অনেক আগেই ফুটপাত দখল করেছিল। এখন একেবারে রাস্তায় উঠে এসেছে। এর জন্য কাউন্সিলররাই দায়ী। পুলিশের একাংশকেও দায়ী করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘টাকা নিয়ে হকারদের বসতে দিচ্ছে। তার পর বুলডোজার দিয়ে তুলে দিচ্ছে। এমনটা চলতে পারে না। এর পর থেকে যদি দেখি কোথাও রাস্তায় হকার বসানো হচ্ছে, তাহলে কাউন্সিলরকেই অ্যারেস্ট করিয়ে দেব।