বাঁকুড়া: করোনা আবহে দেড় বছরেরও বেশি সময়কাল বন্ধ সমস্ত ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চরম সমস্যায় সাধারণ পরিবারের অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী। এই অবস্থায় ওই সব ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে এগিয়ে এসেছেন বাম গণ গণ সংগঠনগুলির সদস্যরা।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া জেলায় অসময়ের স্কুল, আমার পাঠশালা, আমার আটচালা, সহজ পাঠ সহ বিভিন্ন নামে প্রায় ১৬ টি এই ধরণের অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে। আর এই কাজে স্থানীয় মানুষ, ডি.এল.ইড, বি.এড প্রশিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারাও এগিয়ে এসেছেন।
রবিবার শিক্ষক দিবসের সকালে কোতুলপুরের টেংরাখালি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রামের আটচালায় এমনই এক ‘আমার পাঠশালা’য় প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ নিচ্ছে কচিকাঁচারা। আর ওই স্কুলে শিক্ষকের ভূমিকায় নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়।
পরিস্থিতির বিচারে অভিনব এই উদ্যোগে খুশী সংশ্লিষ্ট ছাত্র ছাত্রী থেকে গ্রামের মানুষও। দ্বিতীয় শ্রেণীর ঈশিতা দিগারের কথায়, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। আমাদের স্যার ও গ্রামের দাদা-দিদিরা আমাদের পড়াচ্ছেন। নতুন এই স্কুলে এসে তার খুব ভাল লাগছে বলে সে জানায়। গ্রামবাসী নীলু রায় বলেন, খুব ভাল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, এই অবস্থায় নতুন করে গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলমুখী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তারা খুব খুশী বলে তিনি জানান।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সংগঠন ছাড়াও, নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, বঙ্গীয় স্বাক্ষরতা প্রসার সমিতির সংস্যরাও ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশুনা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে জেলা জুড়ে এই ধরণের স্কুল চালু করতে এগিয়ে এসেছেন। গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়েই সর্বত্র এই কাজ চলছে বলে তিনি জানান।