‘BJP-র আইনি সেলের প্রধান, তাদের হয়ে একাধিক মামলা’, এজলাস বদলের যুক্তি মমতার আইনজীবীর!

‘BJP-র আইনি সেলের প্রধান, তাদের হয়ে একাধিক মামলা’, এজলাস বদলের যুক্তি মমতার আইনজীবীর!

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হল নন্দীগ্রাম মামলায় এজলাস বদলের শুনানি৷ ভার্চুয়ালি মামলায় অংশ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে চলছে শুনানি৷ আগের শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত৷ সেই নির্দেশ মেনেই আজ ভার্চুয়াল ভাবে উপস্থিত হয়েছেন তিনি৷ গতকাল নন্দীগ্রাম গণনা মামলার শুনানি বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  শুনানি স্থগিত হওয়ার পর সিঙ্ঘভি বলেন, আমরা আশা করব উনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াবেন৷ আমাদের দেশে একটি কোড অফ কনডাক্ট তৈরি হয়েছিল পাঁচ বিচারপতির নেতৃত্বে৷ যাঁর প্রধান ছিলেন এএস আনন্দ৷ তাঁরা যে ১৬টি পয়েন্ট করেছিল তাঁর প্রথম পয়েন্টে বলা হয়েছিল, যদি সাধারণ মানুষের মনে বিচারপতি নিরপেক্ষ নন, উনি একপেশে, তাহলে ওঁনার উচিত মামলা থেকে সরে দাঁড়ানো৷ 

• শুনানি শেষে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে রায় দান স্থগিত।

• এই এজলাসে নন্দীগ্রামের ফলাফল কারচুপি মামলার শুনানি গ্রহণ করা হবে কিনা উত্তর ঝুলেই রইলো৷

•  এখানে যাঁরা যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন তাঁদের সকলেরই  প্রথম পরিচয় একজন আইনজীবী। পরে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়৷ বললেন বিচারপতি৷

• উত্তরে বিচারপতি কৌশিক চন্দ হাসি মুখেই বলেন, ওকালতি অনেক মামলারই করতে হয়। নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মামলা করলেই যে তাঁকে সেই রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক হতে হবে , সেটা আমার জানা নেই। দীর্ঘ সময় ধরেই ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে মামলা করেছি। কলকাতা বিজেপির বহু কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আমার ছবিও বেড়েয়েছিল।

•  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, কেন এই এজলাসের আমার মক্কেল মামলা করতে চাইছেন না তার কারণ হল আপনি আইনজীবী থাকাকালীন  বিজেপির হয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা করেছিলেন। ইমাম ভাতা, বিজেপির রথ যাত্রা, কলকাতায় RSS অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও বহু মামলা করেছিলেন।  আপনি বিজেপি’র আইনি সেলের প্রধানও ছিলেন৷ সেই কারণেই আমার মক্কেল মনে করছেন নন্দীগ্রামের ফলাফল কারচুপি সংক্রন্ত মামলার রায় আমাদের পক্ষে নাও যেতে পারে৷ তাই তিনি চাইছেন অন্য এজলাসে মামলা শুনানি শুনানি হোক।

•   অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন,  দুটি বিষয় নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে৷ প্রথমত, আপনি এখনও স্থায়ী বিচারপতি হননি। দ্বিতীয়ত, আপনি আইনজীবি থাকাকালীন বহু ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে আদালতে সওয়াল করছেন। তাই আমি চাইছি অন্য বেঞ্চে মামলা শুনানি করা হোক

•  প্রধান বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রসাশনিক প্রধান এবং প্রধান বিচারপতি। তিনি নিজে এই মামলা এখানে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। তাহলে ওঁনার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়! প্রশ্ন বিচারপতি কৌশিক চন্দের

• ১৮ই জুন মামলার শুনানি জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল আমার কাছে পাঠিয়েছেন। সারা পৃথিবীতেই এমনি হয় বিচার ব্যবস্থায়৷ তাহলে এমন কী ঘটলো যে মামলার শুনানি সম্পূর্ন না করেই আপনাদের মনে হলো আপনারা সুবিচার পাবেন না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন বিচারপতি কৌশিক চন্দের

• এটা কলকাতা হাইকোর্টের প্রসাশনিক সিদ্ধান্ত৷ সেই সিদ্ধান্তকেই আপনারা মান্যতা দিচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা কি থাকবে? তাহলে তো সকলেই এটা করতে পারেন। তাহলে বিচার ব্যবস্থার কি প্রশ্নের মুখে পড়বে না? অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন বিচারপতির৷ 

• আপনারা এই এজলাসের কি শুনানি করবেন? অভিষেক মনু  সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন  বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷

• আপনারা প্রশাসনিকভাবে প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারপতি বদলের আবেদন করেছেন, সেই আবেদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি এখনো কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এখন আপনারা আবার আমার কাছে আবেদন করেছেন। শুনানি করতে আমার কোন আপত্তি নেই, তাহলে আপনাদের প্রধান বিচারপতির কাছে করা আবেদন প্রত্যাহার করতে হবে।  দুটো আবেদন একসাথে চলতে পারে না। জানালেন, বিচারপতি কৌশিক চন্দ৷

•    নন্দীগ্রামে গণনা কারচুপি মামলার প্রথম আবেদন ৩১শে মে। তার পর বিচারপতি শেখর ববি সারাফে এবং এরপর বিচারপতি সব্যসাচি ভট্টাচার্যের এজলাসে ফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কারণ নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার ১ মাসের মধ্যেই কোর্টে আবেদন জানাতে হয়। সেই মতোই আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু নিয়মিত কোর্ট বসছে না। তার মধ্যে কোন বিচারপতি কী কী মামলা শুনবেন তা স্পস্ট হয়নি। তাই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। তিনটি চিঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দিয়েছিলাম। গত ১৬ই জুন প্রধান বিচারপতি আপনার এজলাসে মামলা নির্দিষ্ট করেন৷ আদালতে বলেন  অভিষেক মনু সিংভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 19 =