কলকাতা: শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে৷ পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তা নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে। যা থেকে পরবর্তী সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে৷ এমন আভাস ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আর এও জানান হয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘মোখা’ বা অনেকে একে ‘মোচা’ও বলছেন। কিন্তু এই নামের মানে কী, কেই বা এই নাম দিল, তা সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। সেই বিষয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক।
সবার প্রথমে জানতে হবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে ইয়েমেন। তবে এই শব্দের আক্ষরিক কোনও অর্থ নেই। ইয়েমেনের এক বন্দর শহরের নাম ‘মোখা’ বা ‘মোকা’। সেই কারণেই এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে এমন। এক সময়ে ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর ছিল এটি। এই শহরেই বিখ্যাত কফি ‘মোখাঁ’র চাষ হয়। কফির নামও এসেছে বন্দর শহর থেকেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ফের ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়? বড় আপডেট দিল IMD! IMD’s prediction on Cyclone Mokha” width=”560″>
ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যদি আসে তাহলে আর বেশি দেরী নেই। সপ্তাহান্তেই তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, তামিলনাড়ু, ওড়িশার পাশাপাশি এর প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপরেও৷ উপকূলবর্তী রাজ্যগুলির উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে বলেই আবহবিদদের অনুমান। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। শক্তি সঞ্চার করে ৬ মে নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপ।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, আগামী ৬ মে থেকে ১০ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে। যদিও এই ব্যাপারে একটা স্বস্তির বার্তাও মিলেছে। আদতে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে কিনা বা হলে বাংলার দিকে বেশি প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। তবে এই আবহে আগামী বেশ কয়েকদিন মেঘলা আকাশ থাকবে এবং মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিও হবে বলা জানান হয়েছে।