কলকাতা: ‘কেন এত শিশুর মৃত্যু? স্বাস্থ্য দফতর থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’? রাজ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন তিনি এবং স্বাস্থ্য ভবনকে নয়া গাইডলাইন জারি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্যভবন। ইতিমধ্যেই অ্যাডিনো নিয়ে নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসার সুবিধার্থে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনোভাইরাসের দোসর হচ্ছে নিউমোনিয়া! শিশুদের নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি
স্বাস্থ্য ভবন নতুন গাইডলাইনে জানিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক অ্যাকিউট রেসপেরিটরি ক্লিনিক (ARI) চালু রাখতে হবে সপ্তাহে ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা। এছাড়া ভেন্টিলেশন-সহ আইসিইউ, সিসিইউ তৈরি রাখতে হবে জরুরি অবস্থার কথা ভেবে। রাজ্যের প্রতিটি স্তরের হাসপাতালগুলি পরিচ্ছন্ন রাখতে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে, আশা ও অঙ্কনওয়াড়ি কর্মীদের দিয়ে সাধারণের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অভিযান চালাতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে কত সুরক্ষিত বড়রা? How safe are adults from adenovirus?” width=”835″>
সর্বোপরি, চিকিৎসার সুবিধার্থে ১৮০০-৩১৩৪৪৪-২২২ হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অ্যাডিনোভাইরাসের সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেই পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসকমহল। শেষ তিনদিনে মোট ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। মঙ্গলবার সকালেই কলকাতার হাসপাতালে মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা গিয়েছে বলেই জানান হয়েছে।