দিঘা ঘুরতে যাচ্ছেন? নয়া নিয়ম জেনে নিন নাহলে বিপদ

দিঘা ঘুরতে যাচ্ছেন? নয়া নিয়ম জেনে নিন নাহলে বিপদ

কলকাতা: এমন কোনও বাঙালি নেই যে দিঘা যেতে পছন্দ করে না। কথাতেই আছে, বাঙালির ‘দি-পু-দা’, দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। তবে অধিকাংশ বাঙালির হয়তো সৈকত বেশি পছন্দ হবে। তবে এখানে ওই তর্কে গিয়ে লাভ নেই। আসল কথা হল, দিঘায় হোটেল বুকিংয়ের কিছু নতুন নিয়ম হয়েছে। আজ, ১ এপ্রিল থেকেই চালু হয়েছে সেই নিয়ম। দিঘায় ঘুরতে যাচ্ছেন? তাহলে অবশ্যই জানতে হবে এই নিয়ম।

আরও পড়ুন- বিধি প্রত্যাহারের প্রথম দিনেই দেশে বাড়ল সংক্রমণ! বৃদ্ধি মৃত্যুরও

বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার প্রথম তিন পছন্দের একটি হল দিঘা তা বলাই বাহুল্য। প্রতি বছর এই সৈকত শহরে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। প্রতি মাসেই ভিড় জমান পর্যটকরা। তাই যত ভিড় বাড়ে তত বেশি অপ্রীতিকর ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে যেটা স্বাভাবিক। এই সমস্ত ঘটনা রোধ করতেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনলাইন ডেটাবেস সিস্টেম চালু করেছে রাজ্য সরকার। আপাতত দিঘার ৬০০টি হোটেল নিয়ে এই সিস্টেম চালু হয়েছে। ধাপে ধাপে শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণিতে এই সিস্টেম চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সিস্টেম আদতে কী? কী ভাবে কাজ করবে এটি? সেটা জানা খুবই দরকার।

আসলে অনলাইন ডাটাবেস সিস্টেম চালু হলে পর্যটকদের যাবতীয় তথ্য নতুন পোর্টালে আপলোড করে দিতে হবে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের থেকে নেওয়া ফিও জমা করতে হবে অনলাইনে। এর কারণে সবথেকে বড় যে ব্যাপার হবে তা হল, রাজস্বে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়টিও আরও বেশি করে গুরুত্ব পাবে। জানা গিয়েছে, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকে এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সহায়তা করছে এনআইসি বা ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার। তবে হঠাৎ এই সিস্টেম কেন আনা হচ্ছে? সেটারও একটা বড় কারণ আছে। মূলত দুর্নীতি ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন- পুলিশের জালে ভাদু খুনে অভিযুক্ত আরও তিন, ফের জিজ্ঞাসাবাদ মিহিলালকে

পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও পরিষেবা বাবদ পর্যটকরা দীঘায় এলে একটা ফি দেন। হিসেব অনুযায়ী, ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার কর আদায় হয় এই বাবদ। নিয়ম অনুসারে সেই টাকা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকে দেওয়ার কথা হোটেল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই তারা তা দেয় না। অনেক কম টাকা আদায় হয় কর বাবদ। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয় পর্ষদকে। তাই এই সিস্টেম চালু করে একদিকে যেমন দুর্নীতি ঠেকানো যাবে, অন্যদিকে দিঘায় আসা পর্যটকদের তথ্যও সহজে সংগ্রহ করা যাবে। এতে তাদের সুরক্ষাই বাড়বে, কেউ বিপদে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =