উপলব্ধিই সব, ব্রাত্যদের জীবনে ‘সুর’ ফিরিয়ে দিতে পথে নেমেছে একদল

উপলব্ধিই সব, ব্রাত্যদের জীবনে ‘সুর’ ফিরিয়ে দিতে পথে নেমেছে একদল

নিজস্ব প্রতিনিধি: সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের যে সব সময় সাহায্যের প্রয়োজন হয় তা মানতে না চাইলেও মানতে হবে। বহু যুগ ধরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে যা যত দিন যাচ্ছে ততো বেশি জটিল হচ্ছে। আর বিগত দুই বছর ধরে যে সমস্যা আরও বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক থেকে শুরু করে লকডাউনের ব্যথায় জর্জরিত এই মানুষগুলোর জীবন। ভালো জামাকাপড় পরা তো দূর, একবেলা ঠিকঠাক খাবার জোগাড় করা যেন জীবন যুদ্ধের সবথেকে কঠিন কাজ। তবে আরও এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন যারা শুধুমাত্র নিজেদের উপলব্ধি দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। তারা একসঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করেন এই মানুষগুলোর জন্য। অবহেলিত প্রাণ গুলোর জীবনে ‘সুর’ ফিরিয়ে দেওয়াই তাদের কাজ। এই ভাবনা নিয়েই পথে নেমেছে ‘সুর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন’। 

Suur

বিশেষত কলেজ পড়ুয়াদের হাতে তৈরি এই দল। ছাত্র জীবনেই তারা বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সমাজের একশ্রেণীর মানুষের সাহায্যের খুবই প্রয়োজন। সেই ভাবনা থেকেই ২০১৯ সালে এই সংগঠনের জন্ম। বিগত দুই বছর ধরে ক্রমাগত দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করে চলেছে এই দল। একাধিকবার সুন্দরবনের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে সেখানকার পীড়িতদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে, শহরজুড়ে অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে কাজ করা এদের রোজকারের বিষয়। 

Sur

এখন মহামারির পরিস্থিতিতে যে দায়িত্ব আরো বেড়েছে তা আলাদা করে বলার কথা নয়। সম্প্রতি দেবীপক্ষের সূচনা আবারো পথে নেমে ‘ব্রাত্যদের’ দিকে হাত বাড়িয়েছে ‘সুর’। প্রিন্সেপ ঘাট, শোভাবাজার, বেহালার কিছু অংশে কমবেশি ২০০ পথ শিশুদের নতুন জামাকাপড় দিয়েছে তারা। কয়েক দিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তাই মায়ের আগমনের আগে ছোট ছোট মুখগুলোতে হাসি ধরিয়েছে ‘সুর’। তবে শুধুমাত্র এই ভাবে সমাজের এই ব্রাত্য অংশকে সাহায্য করার উদ্যোগ নেয়নি তারা। পথ শিশুদের শিক্ষা এবং সামাজিকভাবে আগামী দিনে প্রতিষ্ঠা করাই এই সংগঠনের অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে চলেছে এই দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 8 =