কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৎপর হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনী চেয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে তারা। এরই মধ্যে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল নির্বাচন কমিশনের তরফে। পঞ্চায়েত ভোটের কাজে এঁদের ব্যবহার করা যাবে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের এই মর্মে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের ছাড়াও এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও। এর আগে একাধিকবার ভোটে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এবার যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্যই বেশি করে তৎপর কমিশন। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ‘টিকিট‘ নিয়ে সম্মুখ সমরে নামলেন স্বামী স্ত্রী।” width=”560″>
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে বাংলায় ৬ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৮ কোম্পানি বিএসএফ, ৪ কোম্পানি সীমা সুরক্ষা বল এবং ৪ কোম্পানি আইটিবিপির জওয়ান পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১টি কোম্পানিতে ১০০ জন জওয়ান ও আধিকারিক থাকেন। তার মধ্যে ৮০ জনকে বুথে বুথে মোতায়েন করা যায়। বাকিরা জওয়ানদের রসদ ও খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এমতাবস্থায় বিরোধীদের অভিযোগ, মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশন আদালতের রায় নিয়ে প্রহসন করছে৷