এবার দিঘায় সমুদ্রবিহার! প্রমোদতরীতে সফরের আয়োজন

এবার দিঘায় সমুদ্রবিহার! প্রমোদতরীতে সফরের আয়োজন

samudra vihar

দিঘা: দোড়গোড়ায় পুজো৷ মিলবে লম্বা ছুটি৷ এই সময় ভ্রমনপিপাসু বাঙালি আকছাড় বেড়িয়ে পড়ে সমুদ্র কিংবা পাহাড়ের টানে৷  আর বাঙালির সঙ্গে ‘দীপুদা’র সম্পর্ক তো বহু পুরনো৷ সুযোগ পেলেই দিঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং-এর উদ্দেশে পাড়ি দেয় বাঙালি৷ এবার পুজোয় যদি সমুদ্রবিলাসী পর্যটকরা দীঘায় যেতে চান, তাহলে বলে রাখি, আপনাদের জন্য থাকছে বিশেষ চমক৷ এবার দিঘার সমুদ্রে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ‘প্রমোদতরী’। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই তা চালু করে ফেলবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। দিঘা নায়েকালী মন্দির সংলগ্ন চম্পা খাল থেকে শুরু হবে এই বিলাসবহুল জাহাজ যাত্রা৷ তার পর সমুদ্রবক্ষে ভেসে চলবে ‘এমভি নিবেদিতা’৷ আপাতত নায়েকালী মন্দিরের কাছের জেটিতে সুসজ্জিত অবস্থায় অপেক্ষা করছে এই প্রমোদতরী৷ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমুদ্র বক্ষের অ্যাডভেঞ্চার তো থাকছেই, সঙ্গে থাকবে বিনোদনের নানা ব্যবস্থাও৷  

জানা গিয়েছে, প্রমোদতরী এমভি নিবেদিতায় এক ঘণ্টা সফর করা যাবে। প্রাথমিকভাবে প্রত্যেকদিন দু’বার যাত্রী নিয়ে রওনা দেবে সে৷ দু’টি ডেকে সর্বাধিক ৮০জন পর্যটকের বসার আসন রয়েছে। আধুনিক সুবিধাযুক্ত এই জলযানে রয়েছে ছোট একটি রেস্তরাঁর৷ এছাড়াও এখানে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা।  বাউল, বিভিন্ন লোকসঙ্গীত থেকে আধুনিক গান, সব কিছুই পরিবেশিত হবে পর্যটকদের মনোরঞ্জনে। থাকবে টিভির ব্যবস্থাও। দীঘা, শঙ্করপুর সহ আশপাশের সমুদ্রবক্ষ চিড়ে খাঁড়ি এলাকাগুলিতেও ভ্রমণ করবে এই প্রমোদতরী৷ এমভি নিবেদিতার রেস্তরাঁ পরিচালনা থেকে সবকিছুর দায়িত্বই ঠিকাদার সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ জানা যাচ্ছে, প্রমোদতরীতে ভ্রমণের জন্য স্পট ও অনলাইন, দু’ধরনের বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে৷ আপাতত দিনে দু’টি  ট্রিপ নির্দিষ্ট করা হয়েছে৷ তবে চাহিদা বাড়লে আগামীদিনে ট্রিপের সংখ্যাও বাড়ানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে৷

ভারতে যেসব সমুদ্র সৈকতে পর্যটকরা প্রায় সাড়া বছর ভিড় জমান তার মধ্যে সবচেয়ে বিলাসবহুল সমুদ্র সৈকত রয়েছে গোয়ায়। একবার গোয়ার সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখার স্বপ্ন থাকলেও, অনেকেরই সাধ্য থাকে না৷ তবে এবার পুজোয় গোয়ার স্বাদ মিটতে পার দিঘার সৈকতে৷ গোয়ার ধাঁচেই দিঘার সমুদ্রে ভাসবে ঝাঁ চকচকে প্রমোদতরী এমভি নিবেদিতা৷ সমুদ্রের তীর বরাবর দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটার পথ জুড়ে রয়েছে মেরিন ড্রাইভ। মাঝখানে দেখা মেলে ঝাউবনের। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব এবং মনোরম দৃশ্য চাক্ষুষ করতে পারবেন পর্যটকরা৷ এই পরিষেবা শুরু হলে এটাই হবে রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে সমুদ্রবক্ষে ভাসমান প্রথম প্রমোদতরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 1 =