পুলিশকর্তার মেয়ের নামে আপত্তিকর পোস্ট, অবশেষে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা!

পুলিশকর্তার মেয়ের নামে আপত্তিকর পোস্ট, অবশেষে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা!

কলকাতা:  খোদ পুলিশ কর্তার মেয়েকে হেনস্থার অভিযোগ৷ ডিএসপি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারেরর মেয়ের ফোন নম্বর অন্যের ছবিতে জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর পোস্টের ঘটনায় শোরগোল রাজ্যে৷ অভিযোগের তীর উত্তরপাড়ার তৃণমূল নেতার ছেলে অর্ঘ্যদীপ কুণ্ডুর বিরুদ্ধে৷ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে হওয়ায় সুবিচার মিলছে না বলেও দাবি৷ এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠার ১ মাস পর অবশেষে তথ্য প্রযুক্তি আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হল৷ 

আরও পড়ুন-  করোনাকালে বাড়ল মাদার ডেয়ারি দুধের দাম, রাত পোহালেই কার্যকর নয়া দর

বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশন সূত্রে খবর, গত মাসের ১২ তারিখ যে মামলা রুজু করা হয়েছিল সেখানে পুলিশ কর্তার মেয়ে স্পষ্ট অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর কয়েকটি ফোন নম্বর আপত্তিকর ছবির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে৷ এর পর থেকেই তাঁর কাছে আপত্তিকর ফোন আসতে শুরু করে৷ বিভিন্ন ভিডিয়ো কল আসতে থাকে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ সাইবার ক্রাইম বিভাগ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কেয়কটি ধারায় মামলা রুজু করেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ৪৬৯, ৫০০ ও ৫০৭ ধারা৷ 

পুলিশ কর্তার পরিবারের তরফে বারবার বলা হচ্ছিল, কেন তথ্য প্রযুক্তি ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে না? যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁদের মেয়ের ফোন নম্বর আপত্তিকর ছবির সঙ্গে পোস্ট করা হয়েছে৷ পুলিশ অবশ্য জানায় সামগ্রিক ভাবে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পরেই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব৷ তবে আজ তথ্য প্রযুক্তি আইনেই মামলা রুজু হল৷ ৬৬ সি, ৬৬ই, ৬৭ এ-র পাশাপাশি ৩৫৪ ডি ধারাও রয়েছে৷ গোটা বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ প্রয়োজনে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারও করা হতে পারে৷ অভিযোগকারিনীর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলবেন৷ জানা গিয়েছে অর্ঘ্যদীপের সঙ্গে একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন ওই পুলিশ কর্তার মেয়ে৷ অর্ঘ্যদীপের বাবা উত্তরপাড়া ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর৷ এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তরপাড়ার বাড়ি থেকে উধাও তৃণমূল নেতার পরিবার৷ 

আরও পড়ুন- সৌমিত্র খাঁ-বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ করল না BJP, সবটাই গুজব বলে ওড়াল দল

গতকাল ডিএসপি পদমর্যাদার ওই অফিসার বলেছিলেন, পুলিশ হয়ে পুলিশের পরিবারকে সুবিচার দিতে পারে না৷ পুলিশ নির্দিষ্ট গাইডলাইন ফলো করেনি৷ বিধাননগর সিপি-র কাছে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানাব৷ পুলিশ হয়ে যদি সুবিচার না পাই সাধারণ মানুষ কী ভাবে সুবিচার পাবে? তবে হুগলী জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব সাফ বলেন, কেউ কোনও অপরাধ করলে তার সাজা পাবেই৷
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =