কলকাতা: নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি নিয়ে তো হইচই চলছেই। কিন্তু নিয়োগ কাণ্ড থেকে বাদ ছিল না গ্রুপ সি’ও। এবার এই কর্মীদের একাংশেরও চাকরি চলে যেতে পারে। কারণ তাদের ক্ষেত্রেও ওএমআর সিটের ৯০ শতাংশে কারচুপি ধরা পড়েছে। যার তালিকা ইতিমধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল ২০১৬-এর গ্রুপ সি পদের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ওএমআর শিটে গরমিল ছিল, তার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতোই এদিন এই তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।
আরও পড়ুন- নিয়োগ ইস্যুতে মিছিলের অনুমতি শেষমেষ মিলল, তবে মানতে হবে আদালতের শর্ত
তথ্য অনুযায়ী, মোট ৩ হাজার ৪৭৭ জনের ওএমআর সিট পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ হাজার ১১৫ জনের ওএমআরেই গোলমাল! অর্থাৎ প্রায় ৯০ শতাংশ ওএমআর সিটে কারচুপি হয়েছে। আর মাত্র ৩৬২ জনের ওএমআর সঠিক, সেখানে কোনও বিকৃতি নেই। আদালতের নির্দেশেই ওই ৩ হাজার ১১৫ জনের নাম বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে এসএসসি। আর এই তালিকা দেখেই প্রশ্ন উঠেছে যে গ্রুপ ডি বা নবম-দশমের মতো গ্রুপ সি’র কর্মীদের এবার চাকরি যাবে কিনা। পাশাপাশি বেতন ফেরত দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”চাকরি যাচ্ছেই! সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল! HC upholds order over job termination of secondary teachers” width=”560″>
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এসএসসি আগের শুনানিতেই জানিয়েছিল, গ্রুপ সি নিয়োগে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর সিটে যা রয়েছে, তার সঙ্গে কমিশনের কাছে থাকা নম্বরের কোনও মিল নেই৷ এর পিছনে হাত রয়েছে কমিশনেরই কিছু আধিকারিকের৷ এ কথা শুনে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছিলেন বিচারপতি। তারপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেন।
