জয়নগর: তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনায় আনিসুর লস্কর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল। খুনের ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই হল এই গ্রেফতারি। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি এলাকার সিপিএম নেতা। স্বাভাবিকভাবেই এই গ্রেফতারিতে বঙ্গের রাজনৈতিক পারদ যে চড়চড় করে বাড়বে তা বোঝাই যায়। তবে এই ব্যক্তি ছাড়াও আটক করা হয়েছে আরও পাঁচজনকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সিপিএম নেতাই জয়নগরের খুনের ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’। খুনের ঘটনার পরই নদিয়ার রানাঘাটে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে যাওয়ার পথেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত গ্রেফতার করা সকলকে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তিনটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। একটি মামলা হয়েছে সইফুদ্দিন খুনের, একটি মামলা পিটিয়ে মারার ঘটনায় এবং তৃতীয় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে একের পর এক বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায়। পুলিশের অনুমান, আচমকা রাগের বশে সইফুদ্দিনকে খুন কেউ করেননি। বরং এটা পরিকল্পনা মাফিক খুন৷ ঘটনার সময়ের একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভোরের আলো তখনও ভালো করে ফোটেনি। তখন রাস্তা দিয়ে একাই হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন সইফুদ্দিন। তৃণমূল নেতা কিছুটা এগিয়ে যেতেই দু’টি বাইক দ্রুত গতিতে তাঁর পিছন পিছন ধাওয়া করে। তারপরই গুলি চলে। ঝাঁঝরা হয়ে যায় তৃণমূল নেতার শরীর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।