কলকাতা: কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে কলকাতা বিমান বন্দরে আটকানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে নোটিশ ধরায় ইডি এবং তলব করা হয়। এমনকি সেই রাতে ইডি অফিসে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন মেনকা। যদিও পরে ইডি দাবি করেছিল যে নোটিশে ভুল সময় লেখা ছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক-শ্যালিকা।
আরও পড়ুন- ভারত-বাংলাদেশ রেলপথের অংশ ছিল আজকের বিধাননগর রোড! জানুন অজানা কাহিনী
এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ইডি সহ আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলিকে মামলার নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট অবমাননাকারীদের বক্তব্য না শুনে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবেন না তিনি। এদিকে, বিমানবন্দরে মেনকা গম্ভীরকে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে আটকানো বা রাতে ডেকে পাঠানো কী ভাবে কড়া পদক্ষেপ হতে পারে? এটা হয়রানি হতে পারে। এই প্রেক্ষিতেই মেনকার আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের মা অসুস্থ তাই তাঁকে আবারও ব্যাঙ্কক যেতে হতে পারে। তাই তাঁর মক্কেল আবারও বাধা পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
বিচারপতি এদিন মেনকার আইনজীবীকে এও জিজ্ঞাসা করেন যে মেনকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি ডাকা হয়েছিল কিনা। জবাবে তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতাতেই হয়েছে। বিচারপতি বলেন, কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ হবে এটাই মূল নির্দেশ ছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। উল্লেখ্য, মেনকা ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে টিকিট কাউন্টারে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে গেলে মেনকাকে আটকানো হয়। কারণ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করেছে। কিন্তু মেনকার আইনজীবীর দাবি ছিল, মেনকা বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দেয়নি। তা সত্ত্বেও মেনকাকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়।