কলকাতা: প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং আদালত-জেল কর্তৃপক্ষের ভুল বোঝাবুঝি! এর জেরে শুক্রবার মামলার শুনানির কথা থাকলেও হাজির করাই হল না নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ আদালত। একই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী। শুক্রবার হাজিরা না হওয়ায় আগামী সোমবার আদালতে সশরীরে পেশ করতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমনই নির্দেশ এসেছে।
আরও পড়ুন- তিনিই মাস্টারমাইন্ড! নিয়োগের প্রতিটি ধাপে ছিল তাঁর লোক, সায় না দিলেই অপসারণ, দাবি চার্জশিটে
আগের শুনানিতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ এদিন তাঁকে আদালতে তোলার কথা। একই সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদেরও আদালতে পেশের কথা। গতবার আদালতের তরফে পরবর্তী শুনানি অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে পার্থকে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির করানোর আবেদন জানানো হয়। আর সেই আবেদনের চিঠি এসে পৌঁছয় শুক্রবার সকালে। যার ফলেই এই ভুল বোঝাবুঝি।
আসলে আজ কোনও একটি ভাবেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে হাজিরা দেওয়ানো যায়নি। একদিকে ভার্চুয়াল শুনানির লিঙ্ক কাজ করছিল না, অন্যদিকে তাঁকে আদালতেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। কোনও ভাবেই হাজিরা না হওয়ায় পার্থর আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন জানান সঙ্গে সঙ্গে। দাবি করা হয়, ভার্চুয়াল বা সশরীরে হাজিরা ছাড়া কোনও ব্যক্তিকে আটক করে রাখা যায় না। তবে সেই যুক্তি আদালতে খাটেনি।