কলকাতা: অসুস্থতা থেকে শুরু করে নিয়োগ কর্তা নন, একের পর এক যুক্তি আদালতে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও কিছুতে লাভ হয়নি। এদিন তাঁর মামলার শুনানিতে আবার খারিজ হয়ে গেল জামিনের আবেদন। এবার ৭ দিনের জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে পাঠাল আলিপুর আদালত। পার্থর মতোই সুবীরেশ ভট্টাচার্য ও চন্দন মণ্ডলকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন- ‘আমাদের জেলে পাঠিয়ে দিন, অন্তত উপোস করতে হবে না’, আদালতে কাতর আর্জি গ্রুপ সি’র চাকরিহারাদের
এদিন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে ৫ মিনিট কথা বলার সুযোগ চেয়েছিলেন পার্থ। সেই সুযোগ মিলেছিল। তখন পার্থ বলেন, তিনি পড়াশুনায় খুব ভাল ছিল। করোনায় রাস্তায় নেমে কাজ করেছেন। যে করোনা সামলেছে, সে চুরি করতে পারে না। এমনই দাবি তাঁর। তবে তিনি এও জানান যে, এই রাজ্যের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর ভরসা রয়েছে কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস তিনি অন্ধকারে আছেন। এই প্রেক্ষিতে তাঁর মনে হচ্ছে, জীবদ্দশায় রায় দেখে যেতে পারবেন না তিনি। তবে সত্য একদিন সামনে আসবেই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, তিনি শুধু বোর্ডে ছিলেন, কিন্তু তিনি নিয়োগ কর্তা নন। তাই কোনও দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”দুর্নীতিতে আরও প্রভাবশালী নাম! ED unearths important details over recruitment scam” width=”560″>
আদালতের শুনানিতে আজ তাঁর আইনজীবীও একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেউ ওএমআর শিট তৈরি করেছে, কেউ প্রশ্নপত্র। এখানে মন্ত্রী কী করবেন? আর যেখানে দুর্নীতির অভিযোগের এফআইআরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোনও নাম ছিল না, সেখানে কোনও প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে তাঁকে ১০ মাস আটকে রাখা হচ্ছে? উল্লেখ্য, আজ কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।