কলকাতা: ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে পরপর অশান্তির ঘটনা ঘটছে। বোমাবাজি, গুলি, মৃত্যু… সবই হয়েছে। আজও একাধিক জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানালেন, কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর দল জড়িত নয়। বরং অতীতে কত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে মমতা বলেন, ”পঞ্চায়েতের ইতিহাস আমার কাছে নতুন কিছু নয়। ২০০৩ সালে সিপিএম-এর আমলে সম্ভবত ৩৬ জন মারা গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত ভোটের দিন। ২০০৮ সালেও অনেকে মারা গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে মীরা পাণ্ডে ছিলেন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন। তাও ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন।” এরপরেই ইসলামপুর ও চোপড়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য, যা হয়েছে, তার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। যারা এই কাজ করেছে, তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। মমতা স্পষ্ট করে বলেন, গতকাল পর্যন্ত তারা টিকিট চেয়েছে। কিন্তু তাদের কাজে দল সন্তুষ্ট নয়। তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট আছে বলে টিকিট দেওয়া হয়নি। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্রেডিবিলিটি দেখে তবেই টিকিট দেওয়া হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভোট কাটতে বাম, কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে সমর্থন বিজেপি ! West Bengal Panchayat Election 2023″ width=”853″>
কিন্তু কেন এত হিংসা হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, পঞ্চায়েত ভোটের সমস্যা একটাই। এত নীচু লেভেলে ভোট হয় যে, অনেক সময়ে একই বাড়ি থেকে চারজন দাঁড়িয়ে যায়। ফলে কখনও মায়ের সঙ্গে ছেলের, কখনও কাকার সঙ্গে জ্যাঠার সমস্যা হয়ে যায়। নিজেদের মধ্যে ঝামেলার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে তিনি পুলিশকে বলেছেন কড়া পদক্ষেপ করতে, এমনটাই জানান মমতা।