ত্রিপুরায় রাষ্ট্রীয় অত্যাচার চলছে, মানুষ কাঁদছে, বিস্ফোরক অভিযোগ ব্রাত্যের

ত্রিপুরায় রাষ্ট্রীয় অত্যাচার চলছে, মানুষ কাঁদছে, বিস্ফোরক অভিযোগ ব্রাত্যের

আগরতলা:  রাষ্ট্রীয় অত্যাচার চালানো হচ্ছে ত্রিপুরায়৷ মানুষ কাঁদছে৷ বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন এ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষ কাঁদছে৷ মানুষ আশ্রয় খুঁজছে৷ রাষ্ট্রীয় অত্যাচার, বিজেপি’র রাজনৈতিক অত্যাচার মিলে মিশে এক হয়ে গিয়েছে৷ প্রশাসন ও দলকে আলাদা করা যাচ্ছে না৷’’

আরও পড়ুন- মোদী ভারতের রাজা নন! তুলোধনা বিজেপির বর্ষীয়ান নেতার

প্রসঙ্গত, বঙ্গ ভোটের আগে এ রাজ্যে এসে একই ভাবে প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি৷ এবার ত্রিপুরায় গিয়ে সেই অভিযোগই তুললেন ব্রাত্য বসু৷ তিনি আরও বলেন, তৃণমূলকে এত ভয় কেন? তৃণমূল তো এ রাজ্যে গৌন৷ তৃণমূলের উপর হামলা নিয়েও এদিন সুর চড়ান ব্রাত্য৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘শাসক দল আমাদের দলের ছেলেমেয়েদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল৷ তার পর আমাদের ছেলেমেদের বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করা হল৷ ২০১৩ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি’র ভোট ছিল .২ শতাংশ৷ ২০১৮ সালে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে৷ ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ১-২ শতাংশ হবে৷ সেই নিরিখে আমরা এখানে গৌন শক্তি৷ এই গৌন শক্তিকে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’

ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীর পাল্টা অভিযোগ, ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরায় এসে উৎশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করছে৷ লন্ডভন্ড পরিস্থিতি করে সিপিএমকে মদত দিচ্ছে৷ গতকাল সীতারাম ইয়েচুরি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আগামীদিন ত্রিপুরায় সিপিএম ও তৃণমূল হাত ধরে লড়াই করতে পারে৷ সেটা তারই প্রতিফলন৷ তাঁর কথায়,  তৃণমূল ও সিপিএম একে অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করছে৷ ত্রিপুরাকে কী ভাবে সিপিএমের হাতে তুলে দেওয়া যায় সেই ষড়যন্ত্র করছে৷ তাঁরা যতই বলুক ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই, ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে, মানুষ ওঁদের মেনে নেবে না৷ সুশান্ত আরও বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের একটা বুথ কমিটিও নেই৷ এখানে তাঁরা ভোট কাটাকাটির রাজনীতি করতে চাইছে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =