মেডিক্যাল থেকে চুরি ১১ লক্ষ টাকার টসিলিজুমাব, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

মেডিক্যাল থেকে চুরি ১১ লক্ষ টাকার টসিলিজুমাব, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা:  গত বুধবার মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়া যায় করোনা চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন৷ যার মূল্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা৷ যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে৷ এই ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হল জনস্বার্থ মামলা৷ আগামী ৭ জুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিনদাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে হবে মামলার শুনানি৷ 

আরও পড়ুন- ‘কাকে দেখতে গিয়েছিলেন, কেন গিয়েছিলেন জানা নেই’, দিলীপ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মুকুল

অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে এই মূল্যবান টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন হাতিয়েছেন শাসক ঘনিষ্ঠ এক চিকিৎসক৷  গত ২৪ এপ্রিল মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডের সিস্টার ইনচার্জের কাছ থেকে ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন নিয়ে যান হাসপাতালের এমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার৷ ভুয়ো রোগীর প্রেসক্রিপশন দেখিয়েই ওই ইঞ্জেকশন তোলা হয়৷ তবে এর জন্য কোনও রসিদ দেওয়া হয়নি৷ এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে চিকিৎসকদের একাংশ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে৷ ৩ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ কিন্তু এদিন আইনজীবী তাপস মাইতি কলকাতা হাইকোর্টকে জানান, মেডিক্যাল কলেজের গঠিত কমিটির পক্ষে সঠিক ভাবে তদন্ত করা সম্ভব নয়৷ কারণ তাঁদের উপর প্রভাবশালীদের চাপ থাকতে পারে৷ এতে বাধা পাবে তদন্ত প্রক্রিয়া৷  

প্রসঙ্গত, সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকসন ব্যবহার করে থাকেন চিকিৎসকরা৷ সরকারি হাসপাতালে এই ইঞ্জেকশন দেওয়ার আগে রোগীর রিপোর্ট পাঠাতে হয় স্বাস্থ্য ভবনে৷ অনুমোদন মিললে তবেই তা প্রয়োগ করা যায়৷ এক একটি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকসনের দাম প্রায় ৪২ হাজার টাকা৷ এর চাহিদাও প্রচুর৷ করোনাকালে এই ইঞ্জেকশন ২-৩ লক্ষেও কালোবাজারি হয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =