টর্চের আলো পড়তেই জুতোয় লাগা রক্তের দাগ স্পষ্ট, তারপর… সুশান্তকে কী ভাবে ধরল পুলিশ?

টর্চের আলো পড়তেই জুতোয় লাগা রক্তের দাগ স্পষ্ট, তারপর… সুশান্তকে কী ভাবে ধরল পুলিশ?

 বহরমপুর: বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনের মামলায় তোলপাড় রাজ্য৷ অসম্পূর্ণ প্রেম কাহিনীতে এমন নৃশংসতা সকলকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ধরা পড়ার পর ‘খুনি’ প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘‘ও কি বেঁচে রয়েছে?’

আরও পড়ুন- বুধেও বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, আপতত নিম্নচাপের উপরই নজর হাওয়া অফিসের

প্রেমের সম্পর্কে না বলার চরম খেসারত দিতে হয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে৷ ঠান্ডা মাথায় ভর সন্ধ্যাবেলায় ভিড়ের মাঝেই সুতপাকে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত৷ ঘটনার খবর পেয়েই অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ৷ তবে তাকে ধরতে বেশি বেগ পেতে হয়নি পুলিশকে৷ কিন্তু ধরা পড়ার পরেই সুশান্তের প্রশ্ন শুনে একেবার হতবাক শমসেরগঞ্জের ওসি।

এই ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে খবর আসে, বহরমপুর গার্লসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে৷ আর খুন করেই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত। তড়িঘড়ি মাঠে নামে পুলিশ৷ সুশান্তের বাড়ি মালদহে। তাই সবার আগে মালদহগামী প্রতিটি গাড়ি জাতীয় সড়কে দাঁড় করিয়ে তল্লাশিও শুরু করা হয়৷  রাত দশটার কিছু পরে একটি ভ্যানকে দাঁড় করায় পুলিশ৷ ওই ভ্যানে করে ফিরছিলেন কিছু শ্রমিক৷  পুলিশ ভ্যানের ডালা নামায়৷ দেখে সকলেই গাড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মাঝে একমাত্র এক জন গা ঢাকা দিয়ে বসেছিল ত্রিপলের আড়ালে৷  অন্ধকারে মধ্যে টর্চ জ্বালায় পুলিশ। দেখা যায়, বসে থাকে সেই ব্যক্তির জুতোয় রক্তের দাগ৷  বুঝতে বিলম্ব হয়নি পুুলিশের৷ তৎক্তাষণাৎ তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে আনা হয়৷ মুখ তুলতেই দখা যায়  আততায়ীর ছবির সঙ্গে হুবহু মিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই অপরাধ কবুল করে নেয় সুশান্ত৷ 

রক্তমাখা জামাটা বদলে ফেললেও, পায়ের জুতোটা পাল্টাতে পারেনি সুশান্ত৷ আর সেটাই পুলিশের কাছে বড় প্রমাণ হয়ে ওঠে৷ যদিও ধরা পড়ার পরেও সুশান্তের মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি৷ উল্টে জানতে চায় সুতপা বেঁচে আছে কিনা৷ চোখে মুখে বেপয়োরা ভাব৷ রাত আড়াইটে নাগাদ সুশান্তকে বহরমপুরে নিয়ে আসা হয়।  অন্যদিকে, সুশান্তের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরী৷