কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই অশান্তির খবর এসেছিল। কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় এখনও উত্তেজনা বহাল রাজ্যে। এই অবস্থায় মনোনয়ন কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। লক্ষ্য একটাই, শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এবং নির্বাচন। এই নির্দেশ আসার পরেই বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি তৎপরতা বেড়েছে, বিশেষ করে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে। যার মধ্যে প্রথমেই পড়ে ভাঙড়।
রবিবার সরকারি কর্মীদের ছুটি থাকায় ওই দিন মনোনয়ন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। তবে সোমবার এই কাজ শুরু হলেই আবার অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। সেক্ষেত্রে একাধিক এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বিডিও অফিসের বাইরে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ কিয়ক্স। ভিতরে বাঁশের ব্যারিকেড। কোনওভাবেই যাতে উত্তেজনা না সৃষ্টি হয় তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ভাঙড় বলে নয়, অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমেও ভীষণ তৎপর পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন। সেখানেই বিভিন্ন গ্রামে রুটমার্চ করেছে পুলিশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”সর্বদলীয় বৈঠক শেষ হতেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!” width=”560″>
এদিকে আজই কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ছিল। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোট আরও ৬ দিন পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতি বলেন, মনোনয়নের দিন বাড়ালে ভোটের দিনও পিছোতে হবে। সেক্ষেত্রে ১৪ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হোক। তবে মনোনয়নের সময় একদিন পিছলেও কোনওভাবেই ভোটের দিন পিছতে রাজি নয় কমিশন৷