বাগদা: কলেজ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব এবং ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি। তৃনমূলের এটাই ঐতিহ্যের কালচার কটাক্ষ করল বিজেপি।ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।ঘটনার পরপরই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।
বাগদা থানার ডহরপ্রথা গ্রামের বছর ১৯ এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রানঘাট অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি শুভেন্দু মন্ডলের নামে।অভিযোগ কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দিয়েছে এই যুব তৃণমূল নেতা। এমনকি সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করেন।তৃনমূল নেতার স্ত্রী এই কলেজে ছাত্রী যুবতীকে শনিবার রাতে বিনা কারণে মারধর করে বলেও অভিযোগ।লিখিত অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই যুব তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে বাগদা থানার পুলিশ।যুব তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হতেই বাগদা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।এই ঘটনায় রনঘাট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম মন্ডল দাবি করেন, শুভেন্দু মন্ডল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের অনুগামী।শুভেন্দু বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই যুবতীকে ফোন করেছিলেন গোপা রায় এবং শুভেন্দুকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য তদারকি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।অঞ্চল তৃণমূল সভাপতির সমস্ত অভিযোগ ভুল বার্তা বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়।
বাগদা পূর্ব চক্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ সাহা জানান শনিবার যুবতী আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।আইন আইনের পথে চলবে,কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত স্বাস্থি হবে।এই ঘটনার সাথে দলের কোন সম্পর্ক নেই।উত্তর চব্বিশ বিজেপির জেলার সহসভাপতি তথা বিজেপির নেতা দেবদাস মন্ডল জানান,তৃনমূল দলের নেতাকর্মীদের এটাই কালচার।কখনও কলেজে প্রিন্সিপালের ঘরের মধ্যে বসে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মদ্যপান,কখনো স্কুল শিক্ষকদের মারধর তৃনমূল নেতাদের।এবার কলেজ ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব এবং মারধর এটাই তৃনমূল দলের নৈতিক কালচার।অপেক্ষা করুন এখানো অনেক অভিযোগ বেরিয়ে পরবে তৃনমূল দলের নেতা কর্মীদের নামে।বাংলার মানুষের কাছে একটাই আবেদন আপনারা তৃনমূলকে বাংলার মাটি থেকে দ্রুত বিদায় করুন।তাহলেই বাংলার বুকে সমস্ত মা-বোনদের সম্মান রক্ষা হবে।
কলেজ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা
কলেজ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট, গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা