অধ্যাপকদের অধিকার নিশ্চিত করবে কারা? স্পষ্ট করে দিল হাইকোর্ট

অধ্যাপকদের অধিকার নিশ্চিত করবে কারা? স্পষ্ট করে দিল হাইকোর্ট

কলকাতা: অধ্যাপকদের অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির। একথা একদম স্পষ্ট করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। তাঁর কথায়, শিক্ষা যেমন সকলের অধিকার, তেমনই যাঁরা শিক্ষা দেন তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার নেই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির।

আরও পড়ুন- দিল্লির ‘ধমকে’ কাজ? সিবিআই নিয়ে দিলীপের সুর বদলাল

মামলাকারী শমপুজা গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৯ সালের জুন মাসে উত্তর ২৪ পরগনার বানীপুর মহিলা কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অতিথি শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি এখনও ওই কলেজে অধ্যাপিকা হিসেবেই নিযুক্ত রয়েছেন। গত ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাঁরা যাঁরা অস্থায়ী এবং অতিথি অধ্যাপক বা অধ্যাপিকা হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের চাকরির নিরাপত্তার বিষয়ের জন্য বেতন ২০ হাজার টাকা থেকে ৩১ হাজার টাকার পাশাপাশি অবসরকালীন ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছিল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ কলেজে কতজন অস্থায়ী এবং অতিথি অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা রয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা পাঠাবে। কিন্তু শমপুজার অভিযোগ, স্বজনপোষণ এবং রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি। কারণ অনেক অতিথি অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের নাম কলেজ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে পাঠায়নি।

তিনি এও জানিয়েছেন, বার বার কলেজ এবং ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন হায়ার এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে জানিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলাকালীন আবেদনকারী শমপূজা গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরী জানান, একজন অতিথি অধ্যাপিকার ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সালের সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রাপ্ত সুবিধা পাওয়ার ন্যায়সঙ্গত অধিকার। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং উচ্চ শিক্ষা দফতর তাঁকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না কিন্তু তাঁকে অন্যায় ভাবে প্রাপ্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিচারপতি ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন হায়ার এডুকেশন ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দেন, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীর প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 13 =