কলকাতা: জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ‘অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি’। ইতিমধ্যেই তারা এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এবার এই সংগঠন জানিয়েছে, রাজ্যের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ২৪ মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গেটে বিক্ষোভ হবে, রাজ্য সরকারি অর্ডারের কপি পোড়ানো হবে। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর মউ স্বাক্ষর দোরগোড়ায়, শহরে শাখা প্রায় নিশ্চিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের
জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক স্তরের ‘কারিকুলাম অ্যান্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক’ কার্যকর করতে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের সহ-সচিবের স্বাক্ষরিত এই নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় ‘অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি’। তারা জানিয়েছে, জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হলে পড়ুয়াদের স্বাধীনতা দেওয়ার নামে তাঁদের কেরিয়ারে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা আসলে কিছুই শিখবে না। ফলে তাঁদের যতটুকু শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ ছিল তাও ধ্বংস হবে। ড্রপ আউট বাড়বে। পড়ুয়াকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। দাবি, এটা আদৌ পড়ুয়াকেন্দ্রিক নয়। এর ফলে স্নাতক স্তরের কলেজ ও অ্যাফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”শান্তনু ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাটে মিলল TET-এর ওএমআর শিট! OMR sheets found in Ayan Sil’s flat” width=”835″>
এদিন সংগঠনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ‘অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি’র সভাপতি প্রাক্তন উপাচার্য চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী ও সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র এবং ‘অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর সহ আরও অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে কপি করা একটা শিক্ষানীতি স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা না করে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করছে এবং রাজ্য সরকার একই পথের পথিক হল। এছাড়া তারা রাজ্যের ৮ হাজার ২০৭ টি স্কুল বন্ধ করার ভাবনারও বিরোধিতা করে।