দীর্ঘসময় নিয়োগ নেই, পিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন জমা

দীর্ঘসময় নিয়োগ নেই, পিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, ডেপুটেশন জমা

কলকাতা: সরকারি দফতরে শূন্যপদ অগনিত। কিন্তু WBCS ছাড়া অন্য কোনও পদে নিয়োগের নোটিফিকেশন নেই প্রায় ৩ বছর। এই প্রেক্ষিতেই সোমবার পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে পিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। এর পর পিএসসি-এর সেক্রেটারির কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। সংগঠনের দাবি, কোনও পরীক্ষা হলেও প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর লাগছে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে।

আরও পড়ুন- মমতার ৬ আত্মীয়ের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা, ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের

pic

পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ এই ইস্যুতে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের WBCS, ২০১৯ সালের মিসলেনিয়াস সার্ভিস, ২০১৮ সালের আইসিডিএস সুপারভাইজার পদের নিয়োগ এখনও হয়নি। এছাড়াও ২০১৮ সালের মিসলেনিয়াস সার্ভিসের নন জয়েনিং ও স্কুল এসআই-এর নন জয়েনিং, ক্লার্কশিপের এমএসপি প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হচ্ছে না। সেই কারণেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ডেপুটেশন জমা।

তবে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, পিএসসি-এর সেক্রেটারি তাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী শারদ উৎসবের আগে পিএসসি ক্লার্কশিপের এমএসপি প্রার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। মিসলেনিয়াস সার্ভিস ২০১৮ সালের নন জয়েনিং প্রার্থীদের তালিকাও প্রকাশ করা হবে। এদিকে WBCS (EX) ২০২০ এর চূড়ান্ত ফল অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। অন্যদিকে, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পোস্টের জন্য নিয়োগের নোটিফিকেশন নভেম্বর মাসে প্রকাশ হবে এবং পিএসসি একটা পরীক্ষার ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করবে। তবে এই মঞ্চের পক্ষ থেকে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, যদি এই কাজগুলো না হয় তাহলে তারা আবারও আন্দোলনে নামবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেটেছে ৩ বছর! নিয়োগের দাবিতে পিএসসি ভবনে বিক্ষোভ

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেটেছে ৩ বছর! নিয়োগের দাবিতে পিএসসি ভবনে বিক্ষোভ

কলকাতা: সরকারি দফতরে লক্ষাধিক শূন্যপদ কিন্তু ৩ বছর কোনও নতুন নোটিফিকেশন নেই। আর ২০১৯ সালে ক্লার্কশিপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। সেক্রেটারিয়েট ডাইরেক্টরিয়েটের চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ হলেও এখনও রিজিওনালের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তাই চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে পিএসসি অফিসের সামনে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ প্রদর্শিত হল।

আরও পড়ুন- ‘দুর্নীতি’-র পাকে SSC! অস্বচ্ছতা রুখতে পরীক্ষা পদ্ধতিতেই বড় বদল আনতে চলেছে কমিশন

রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে দমকলে নিয়োগ, পিএসসি, টেট, এসএসসি, আশা কর্মী, পুলিশ, কোনও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে বাকি নেই। তাই রাজ্য সরকারের ওপর যে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে তা আন্দাজ করাই যায়। আবার এদিনের মতো এর আগেও পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। এসআই পদের চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভে বসে জানিয়েছিল, আইনি জটিলতার কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে নিয়োগ বন্ধ ছিল। কিন্তু পরে জটিলতা কেটে নিয়োগ শুরু হলে মোট ৯১৭ জনের প্যানেল থেকে মাত্র ১০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। বাকিদের ব্যাপারে কোনও আপডেট নেই। সেই সমস্যার মাঝেই আজ ক্লার্কশিপের নিয়োগ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন ইন্দ্রজিৎ ঘোষ।

চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মে মাসেও এই ভবনের সামনে আন্দোলন করা হয়। পিএসসি দুর্নীতি মুক্ত মঞ্চের অভিযোগ ছিল, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাতেও দুর্নীতি হয়েছে৷ নির্দিষ্টভাবে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ দাবি, অন্যায় ভাবে একজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং তিনি এই মুহূর্তে কালচিনির বিডিও হিসাবে কর্মরত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =

কেন নিয়োগ হচ্ছে না? পিএসসি ভবনের সামনে প্রবল বিক্ষোভ, অসুস্থ অনেকে

কেন নিয়োগ হচ্ছে না? পিএসসি ভবনের সামনে প্রবল বিক্ষোভ, অসুস্থ অনেকে

কলকাতা: নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের কোনও শেষ নেই রাজ্যে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ নিয়ে ভুরিভুরি অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গ্রুপ-সি থেকে শুরু করে গ্রুপ ডি সবেতেই দুর্নীতির অভিযোগ। এমনকি আশা কর্মী, পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রেও আছে বহু প্রশ্ন। এসবের মাঝে এবার পিএসসি ভবনের সামনে ধুন্ধুমার কাণ্ড। কেন নিয়োগ হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখালেন অনেকে।

আরও পড়ুন- নিয়োগ চাই-ই চাই! চলতি সপ্তাহেই বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের ডাক ঐক্যমঞ্চের

এদিন রাজ্যের খাদ্য দফতরের শূন্যপদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখানো হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন অফিসের সামনে। রাস্তায় শুয়ে পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাকরিপ্রার্থীরা, হয় পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি। সেখানেই বেশ কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, বহুদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিয়োগ শুরু হয়নি। আইনি জটিলতায় পড়তে হচ্ছে নিয়োগ নিয়ে। কেন নিয়োগ হবে না, সেই প্রশ্ন তোলেন তারা। এদিকে, প্রচণ্ড গরমে এই বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়াও বেশ কয়েক জন আন্দোলনকারীকে লালবাজারে আটক করে নিয়েও যাওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরাট পুলিশ বাহিনী আসে মুদিয়ালি এলাকার পিএসসি ভবনের সামনে।

নিয়োগ নিয়ে ঝামেলার মাঝেই আবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির তরফে নিয়োগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মোট ১১ হাজার ৫২১টি পদে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ হবে। শুধু চিকিৎসক বা নার্স পদেই নয়, নিয়োগ হবে মহামারি বিশেষজ্ঞ, করণিক, ল্যাব টেকনিশিয়ান, সাফাইকর্মী পদেও৷ নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্তরে ১ হাজার ৭১০ জন, শহরতলির হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে ৭ হাজার ৪৩৫ জন, শহরতলির পলিক্লিনিকে ২ হাজার ৩৭৬ জন কর্মী নিয়োগ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − nine =