কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় হত্যাকাণ্ড।
মহিলা চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। লালবাজার তরফে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু। প্রাথমিক রিপোর্টে খুন বলে সন্দেহ। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ।
ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত চিহ্ন। মৃতের বাঁ পায়ে আঘাতের চিহ্ন। যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন। চোখ থেকে রক্তক্ষরণ। মৃত চিকিৎসকের গলার একটা হাড় ভাঙ্গা। মুখে একাধিক ক্ষত চিহ্ন। ময়না তদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ, রাত ৩ টে থেকে ৬ টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। গলার একটি হাড় ভাঙা পাওয়া গেছে, যা সাধারণত হাত দিয়ে গলা টিপে খুন করলে গলার ওই জায়গায় হাড় ভাঙার সম্ভবনা থাকে। তাই এই মৃত্যুকে খুন বলেই দাবি চিকিত্সকদের। শুধু গলার হাড়ই ভাঙা নয়, নাকে-মুখে পাওয়া গিয়েছে রক্তের দাগ। জানা যায় গলা টিপে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে ছাত্রীকে। কিন্তু শুধুই কি গলা টিপে খুন? নাকি ওই চিকিৎসকের সঙ্গে নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, নীল তোষকে চিকিৎসকের দেহ পড়েছিল। তোষকের রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। তোষকের ধস্তাধস্তির চিহ্ন স্পষ্ট। চিকিৎসকের জিন্স এবং অন্তর্বাস পড়েছিল পাশে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল চুল। শরীরে নখের আঘাতের চিহ্ন। সব মিলিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আরজি করের মতো রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।