কলকাতা: সন্দেশখালিতে ৩২ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের স্টিং ভিডিয়ো ঘিরে গত শনিবার থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতিতে। এই উত্তেজনার আবহেই সন্দেশখালি নিয়ে আরও একটি ভিডিয়ো শোরগোল ফেলল৷ যেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করা নির্যাতিতাদের পরিচয় নিয়েই প্রশ্ন উঠল৷ এবং সেই প্রশ্ন তুললেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে একই প্রশ্ন সন্দেশখালির আরও এক নির্যাতিতা তথা আন্দোলনকারিণী মাম্পি দাসেরও। তবে ভিডিয়োটি কবে ও কোথায় তোলা হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি৷
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োর শুরুতেই মাম্পিকে বলতে শোনা যায়, “রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে সন্দেশখালির কিছু নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তা হলে আমরা কারা?” তাঁর পাশে দাঁড়ানো আর এক মহিলা সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, “আমরা সন্দেশখালির আন্দোলনকারী বা নির্যাতিতা। আমরা সবাই তো গিয়েছিলাম পিএম স্যরের সঙ্গে দেখা করতে। তা হলে আমাদেরকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে কারা গেল? আমরা তা হলে কারা?”
এই ভিডিয়োতেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ রেখাকে বলতে শোনা যায়, “নির্যাতিতা মেয়েরা সন্দেশখালিতেই পড়ে রয়েছে। তা হলে আমাদের মুখ হয়ে কারা গেল, এটা জানার প্রয়োজন রয়েছে। আর ওখানে যে রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে গিয়েছে, আমাদের কিছু জানিয়েছে? আমরা তো নির্যাতিতা, আমরাই আন্দোলনের মেন মুখ।”
রেখার দাবি, এই ‘নকল’ নির্যাতিতাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে বিজেপি নেতা অনুপ দাসের হাত রয়েছে। মাম্পিকে বলতে শোনা যায়,‘‘খবর পেয়েছি অনুপ দাস নাকি ওদের নিয়ে গিয়েছেন। এই অনুপ দাস ১০ হাজার টাকা করে মাস গেলে শিবু হাজরার কাছ থেকে টাকা নিত। শুনেছি পদ্মা মণ্ডলও গিয়েছেন। তাহলে কি এটাই বুঝব, উনি আসলে তৃণমূলের লোক আর উপরে-উপরে বিজেপি করেন।” বিজেপির একটি সূত্রে খবর, অনুপ এক সময় বিজেপি করতেন৷ পরে তাঁকে দল থেকে ‘বার করে দেওয়া হয়’।