কলকাতা: রবিবার প্রেসিডেন্সি জেলে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে একমাত্র ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের৷ পরীক্ষায় নিজের অপরাধ কবুল করে নিয়েছে সে৷ ঘটনার রাতে ঠিক কী কী ঘটেছিল, তার সবটাই জানিয়েছে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত৷ তেমনটাই সূত্রের খবর৷
আগেই জানা গিয়েছিল ঘটনার রাতে সঞ্জয় দুটি যৌনপল্লিতে গিয়েছিল৷ সে কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত সিভিল ভলেন্টিয়ার। তবে সঞ্জয় জানিয়েছে, দুটি যৌনপল্লীতে গেলেও সেখানে কারও সঙ্গে সঙ্গম করেনি৷ বরং নিজের প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলে এবং তার থেকে নগ্ন ছবি চায় সঞ্জয়। পরে হাসপাতালে আসার সময় রাস্তায় এক মহিলাকে উত্ত্যক্ত করে৷
পলিগ্রাফ টেস্টের পর সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, রাত ১১.১৫ নাগাদ এক বন্ধুর সঙ্গে মদ খাওয়ার পর প্রথমে গিয়েছিল উত্তর কলকাতার এক যৌনপল্লীতে৷ সেখান থেকে যায় দক্ষিণ কলকাতায়। কয়েক ঘণ্টা সেখানে কাটানোর পর ভোট ৪টের কিছু আগে সে আরজি করে ঢোকে৷ সোজা চলে যায় চার তলার সেমিনার হলে। সিসিটিভি ফুটেজেই ঠিক ওই সময়ই দেখা গিয়েছে তাকে৷
সঞ্জয় একথা স্বীকার করে নেয় যে, সেমিনার হলে ওই তরুণী চিকিৎসককে দেখা মাত্রই তাকে শারীরিক নিগ্রহ শুরু করে। চলে মারধর৷ ধর্ষণের পর তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করে সে। আরজি কর থেকে বেরনোর পর এক পুলিশ বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ঢোকে সঞ্জয়৷ তিনি হলেন অনুপম দত্ত৷ কল রেকর্ড মিলিয়ে দেখা যায় সত্যি কথাই বলছে সঞ্জয়৷