এক যুগ পর ফের চাষের জমিতে ঢুকল নোনা জল, জেরবার সুন্দরবন

এক যুগ পর ফের চাষের জমিতে ঢুকল নোনা জল, জেরবার সুন্দরবন

ক্যানিং: সময় এগিয়েছে, কিন্তু ফিরে দেখা ইতিহাসের দগদগে ঘা ফের একবার আছড়ে পড়ল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় যশ। সাল্টা ২০০৯ এর ২৬শে মে৷ ঠিক এই একই দিনে বাংলার বুকে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা৷ যার দাপটে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বহু মানুষের সংসার৷ বিধ্বংসী আয়লার কোপে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বহু চাষের জমি। বহু দিন কেটে যাওয়ার পরেও বাংলার হাল ফেরাতে বেগ পেতে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। আর সেই স্মৃতি উস্কে দিয়ে ফের বাংলায় আছড়ে পড়ল যশ৷ যার প্রভাবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আবারো হয়রানি অবস্থার জোগার৷

ফের ভাঙল বাঁধ৷ লোনা জলে প্লাবিত হল কৃষিজমি৷ আগে থেকে হালকা প্রস্তুতি নিয়েও ঠেকানো সম্ভব হয়নি জলোচ্ছ্বাস৷ আবারও জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমি। বহু চেষ্টা করেও সেই জল আটকানো যায়নি, এবার প্রশ্ন কীভাবে স্বাভাবিক হবে সুন্দরবন এলাকা? প্রতি বার ঝড়ে যেভাবে গ্রামের চাষের জমিতে জল ঢুকছে তাতে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে চাষিদের একাংশ। তবে সুন্দরবনের এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। নিজেই সেচ দফতরের সচিবকে বলেন, কী করে স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামত করা যায় তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। প্রতি বছর বাঁধ ভাঙবে আর সরকার টাকা দেবে এমনটা হয় না। কিন্তু যেভাবে প্রতি বছরই বাংলার বুকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ছে তার থেকে একটা কথা স্পষ্ট। এবার কড়া হাতে পদক্ষেপ না নিলে সুন্দরবন এলাকার ক্ষতি মেটাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে রাজ্য সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 3 =