কলকাতা: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ নয়৷ শুক্রবার এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং সঞ্জয় করলের যৌথ বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তবে গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় দিয়েছিলেন, তার উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা বাতিল করা হোক, ৩ রাজ্যের ফল ঘোষণা হতেই খড়্গহস্ত শুভেন্দু
কলকাতা হাই কোর্টে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১,৯১১ জন চাকরিপ্রাপকদের একাংশ। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে, হাই কোর্টের নির্দেশে ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি যাওয়ার পর ওই শূন্যপদগুলিতে এখনই নিয়োগ করা হলে আইনি জটিলতা আরও বাড়বে।
অবৈধ ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে স্কুলে নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ জন গ্ৰুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ বেতন বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি চাকরির প্রথম দিন থেকে সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয় তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরিহারা কর্মীদের একাংশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আপিল করেন। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের বেতন বন্ধের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও, চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেনি। শুক্রবারই হাই কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এরই মধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দায়ের করেন চাকরিহারাদের একাংশ। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান তাঁদের আইনজীবী৷
এদিকে, চাকরিহারা কর্মীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন ধরে নিয়েই মূল মামলাকারী লক্ষ্মী টুঙ্গার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম শীর্ষ আদালতে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছিলেন। এর অর্থ হল, মূল মামলকারীদের বক্তব্য না শুনে, শুধু চাকরিহারাদের বক্তব্য শুনে কোনও রায় দিতে পারবে না শীর্ষ আদালত।
এদিকে, আইনজীবী পার্থসারথী দেববর্মন বলেন, “১,৯১১টি শূন্যপদ পূরণের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সেলিংয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এটা অন্তবর্তী আদেশ। ২০ মার্চ ফের শুনানি। আবার আমরা আবেদন জানাব। মূল বক্তব্য, OMR শিট নিয়ে সিবিআই-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চাকরি বৈধ বা অবৈধ বলে গণ্য করা যাবে না।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>