কলকাতা: ৬০৩ জন শিক্ষকের বদলির নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু আচমকা সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু বদলির নির্দেশ দিয়ে কেন হঠাৎ করে পিছিয়ে আসল সরকার, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাহলে কি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ভেবে এমনটা করা হল, নাকি এর পিছনে আছে আদালতের চাপ? প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল, এই ৬০৩ জন শিক্ষক বদলির বিষয়টি গরমের ছুটির পর কার্যকর হবে। কিন্তু গত ১৫ জুন স্কুল খুলে যাওয়ার পরেও এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়নি বরং স্থগিত রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। শুরু থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ছিল। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন অভিযোগ করেছিল যে, রাজ্য সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য, ডিএ দাবিতে যে আন্দোলন হচ্ছে তা রোধ করা। এমনও অভিযোগ ছিল, যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকারা ডিএ নিয়ে আন্দোলন করেছেন বা করছেন বেছে বেছে তাদেরই বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার জানিয়েছিল, পদ্ধতি মেনেই এই বদলির সিদ্ধান্ত। যদিও এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে তারা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”গরমে নেই জল, ফুঁসছে গোটা গ্রাম আগুন জ্বালিয়ে ভোট বয়কটের ডাক গ্রামবাসীর! Panchayat poll boycott” width=”853″>
এই বদলির ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছিল যার শুনানি হয়েছে লাগাতার কয়েকদিন ধরে। আদালতও এই সিদ্ধান্তের পদ্ধতিগত প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট তলব করে রাজ্যের কাছে। মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা সোমবার, ১৯ তারিখ। তার আগেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখল।