কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এক যুবকের ঢুকে পড়ার ঘটনায় তাজ্জব পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটতে পারে তার কূলকিনারা এখনও পাওয়া যায়নি। এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই যুবক তাঁর বাড়িতে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকল তা বোধগম্য হচ্ছে না। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাই আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি লালবাজার এই নিয়ে বৈঠক করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘আপনার পরেই তো অভিষেক..’ পরিবারতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই জবাব দিলেন মমতা
যুবক মানসিক ভাবে সুস্থ নয় এবং লোহার রড নিয়ে ঢুকেছিল বলেই জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সামনে চলে এলে কী হতে পারত তা ভেবেই অনেকে আতঙ্কিত হচ্ছেন। এই অবস্থায় লালবাজার তাঁর সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অতিরিক্ত আরও ১৮ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভির সংখ্যা। একই সঙ্গে যে সমস্ত টহলদারি ভ্যান থাকে তার সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে খবর। পাশাপাশি যে নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়া যায় সেই রাস্তায় পুলিশি নজরদারি আরও মজবুত করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে জেরা করছে পুলিশ। তাঁর আবার বক্তব্য, তিনি নাকি লালবাজার ভেবে ভুল করে পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। ধৃত হাফিজুল জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে তিনি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভুল করেছিলেন৷ কিন্তু গভীর রাতে ঠিক কী কারণে তার লালবাজারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ল তাঁর? এই উত্তর অবশ্য মেলেনি। এদিকে আগামী ৭ দিন অর্থাৎ ১১ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
