কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদের মাঝেই উঠে এসেছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ৷ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আমলে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে৷ এমনকি উঠেছে লাশ বিক্রির অভিযোগ৷ এবার সামনে এল শয্যা রহস্য৷ অভিযোগ, সন্দীপ জমানায় আরজি কর থেকে রাতারাতি উধাও হয়েছিল ১৮৬টি শয্যা! কী ভাবে এতগুলি শয্যা ‘ভ্যানিশ’ হয়ে গেল, তার হদিশ অবশ্য মেলেনি৷
২০২৩ সালের মে মাসে আরজি কর হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের মাসিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসপাতালের মোট শয্যা-সংখ্যা ১৩৮৬টি। কিন্তু, ওই বছরেরই ১১ অগাস্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নথিতে দেখা যায়, হাসপাতালের শয্যা-সংখ্যা হয়েছে ১২০০! অর্থাৎ প্রাপ্ত নথি বলছে, তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে হাসপাতালের শয্যা-সংখ্যা ১৩৮৬ থেকে কমে ১২০০-তে দাঁড়িয়েছে। কোথায় গেল এই ১৮৬টি শয্যা? তবে কি এটা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য-দুর্নীতিরই অংশ? অনেকেই অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁদের কথায়, এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল। তবে অনেকেই আবার এর মধ্য দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে৷