কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ক্যাম্পাসে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে সোমবার রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কাছে গিয়েছিল এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির প্রতিনিধি দল। উক্ত বিষয়ে একাধিক দাবি রয়েছে এসএফআই-এর। যদিও এদিন জানান হয়েছে যে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন গোটা বিষয়ে নিয়ে ভাবা হবে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে স্বচ্ছ ছাত্রভোট হবে। পাশাপাশি স্কুল বন্ধের বিষয় নিয়েও সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতে কি বৈধতা পাবে সমলিঙ্গের বিয়ে? মামলা গেল পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে, মানতে নারাজ BJP
এসএফআই জানিয়েছে, বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন ১০ মার্চ সময় চেয়েছিল তারা। কিন্তু সেদিন পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল কমরেডদের ওপর, এমনই অভিযোগ। তবে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ ও রাজ্য সরকারের শিক্ষামন্ত্রী এসএফআই’এর দাবিদাওয়া শুনতে বাধ্য হয়েছেন বলেই তারা জানিয়েছেন। প্রতিনিধি দলের তাদের কাছে মূল দাবি, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত রাজ্যের ভেঙে পড়া শিক্ষাব্যবস্থা মেরামতের উদ্দেশে বিশেষ বিশানসভা অধিবেশন ডাকতে হবে। এই প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে যে, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনে শিক্ষা বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়নি। এছাড়া দাবি, সরকারি স্কুল বন্ধ করা চলবে না, ড্রপ আউট রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। সামগ্রিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয়বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রের সাম্প্রদায়িকীকরণ রোধে অবিলম্বে বিকল্প শিক্ষানীতি রূপায়ণ করতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে, এমন দাবি করা হয়েছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”প্রধান শিক্ষককে হুমকি তৃণমূলের! Local TMC leader threatens school head master” width=”853″>
অন্যদিকে, অবিলম্বে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলিতে স্বচ্ছ ছাত্রসংসদ নির্বাচন করাতে হবে বলেও স্পষ্ট দাবি করা হয়। ছাত্রভোট যেন সকল ছাত্রের অংশগ্রহণের গণতান্ত্রিক ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে, তা সুনিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই, প্রতিনিধি দলের এমনই মন্তব্য। তারা জানিয়েছেন যে, শিক্ষামন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি, প্রান্তিক এলাকার স্কুলগুলিকে রক্ষা করা, ছাত্রদের পরিবহন ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার মতো ব্যবস্থা করা হবে। তবে এসএফআই হুঁশিয়ারিও দিয়েছে, ছাত্রদের দাবিদাওয়া পূরণ না হলে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।