ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে মনোনয়ন প্রিয়াঙ্কার,হেঁটে গেলেন শ্রীজীব

ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে মনোনয়ন প্রিয়াঙ্কার,হেঁটে গেলেন শ্রীজীব

কলকাতা:  মন্দিরে পুজো দিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল৷ উল্লেখ্য আজই উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ তাই সকাল থেকেই বাম ও গেরুয়া শিবিরে মনোনয়ন জমা নিয়ে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে৷

আরও পড়ুন- ফের বিজেপিতে ধস! গোসাবা কেন্দ্রের প্রার্থী এবার তৃণমূলে

সোমবার সকালে গোল মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল৷ আলিপুর সর্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর পাশে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁয়ের মনো নেতারও৷ উল্লেখ্য রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিজেপি’র হয়ে লড়ছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল৷ বিজেপি সূত্রে খবর, ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করার অন্যতম কারণ সেটা৷ এই বিষয়কে সামনে রেখেই ভবানীপুরে বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে চান তিনি৷

এদিকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরেই বিজেপি পুরোদস্তুর নেমে পড়বে ভোট ময়দানে৷ তৈরি হয়ে গিয়েছে প্রচার কৌশল৷ ভাবানীপুর উপনির্বাচনের জন্য একাধিক অবজার্ভার নির্বাচিত হয়েছেন৷ মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের৷  বিজেপি নেতৃত্বরা এলাকা ভিত্তিক, ওয়ার্ড ভিত্তিক এমনকী বুথ ভিত্তিক প্রচার করবেন বলে জানা গিয়েছে৷ 

এদিন সকালে ধুনুচি হাতে নাচতে নাচতে মন্দিরে যান ভাবনীপুরের বিজেপি প্রার্থী৷ গোলবাড়ি মন্দির থেকে পুজো দিয়ে ঢাক ঢোল বাজিয়ে জমজমাট মনোনয়ন পেশ করেন প্রিয়াঙ্কা৷ তিনি বলেন, ‘‘আগে থেকে কাওকে মন্দিরে যাওয়ার কথা বিলিনি৷ তাও মানুষ ভিড় করেছে৷’’ এর আগে তিনি বলেছিলেন, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও ভোট চাইতে যাবেন। এদিন প্রিয়াঙ্কার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার মায়ের বয়সি। ওঁর কাছে গিয়ে বলব, দিদি আপনার মেয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে, আর্শীবাদ করুন।” 

আরও পড়ুন- উত্তাল দিঘা, নিষেধ অমান্য করেই সমুদ্রে নামলেন পর্যটকরা

অন্যদিকে, সোমবার সকালে মনোনয়ন পেশ করেছেন বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও৷ কোভিড বিভি মেনে পায়ে হেঁটে মনোনয়ন জমা দেন তিনি৷ মনোনয়ন জমা দিয়ে শ্রীজীব বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের মানুষ কোনও আলাদা উপজাতির মানুষ নয়৷ আর পাঁচটা কেন্দ্রের মতো এখানেও সমস্যা রয়েছে৷ প্রত্যেক দিন জিনিসের দাম বাড়ছে, ভাড়া বাড়ছে, মেট্রো চলছে না, ট্রেন চলছে না৷ আর মানুষের ঘাড়ে একটা উপনির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে একজন মানুষের চেয়ার রক্ষার স্বার্থে৷ এই অভিজ্ঞতা আমাদের চেয়ে মানুষের বেশি৷ এটাই আমরা মানুষের কাছে প্রচার করব৷ ’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 2 =